নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়াশিংটন: ‘সাহায্য’ করার অছিলায় ইজরায়েলে যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠানোর নির্দেশ দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রবিবারই মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে রণতরী ও যুদ্ধবিমান পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর ওই নির্দেশের পরেই ইজরায়েল অভিমুখে রওনা হয়েছে মার্কিন রণতরী জেরাল্ড আর ফোর্ড। আমেরিকার যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর সিওদ্ধান্ত পরিস্থিতির আরও অবনতি গটাবে বলেই মনে করছেন কূটনীতিবিদরা।
অন্যদিকে, গত শনিবার থেকে প্যালেস্তাইনের হামাস যোদ্ধা ও ইজরায়েলের ঘাতক বাহিনীর লড়াইয়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ১,২০০-র গণ্ডি ছাড়িয়েছে। তার মধ্যে ইজরায়েলের ঘাতক বাহিনীর হামলায় গাজা উপত্যকায় চারশোর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আর হামাসের হামলায় ইজরায়েলে মারা গিয়েছেন ৮০০ জনের বেশি। তার মধ্যে এক সঙ্গীত উৎসবে যোগ দেওয়া ২৬০ জন রয়েছেন। হামাসের হামলায় লাশের স্তুপ জমে ওঠার পরেই আতঙ্কে দেশ ছাড়তে শুরু করেছেন বহু ইজরায়েলি। কিন্তু দেশ ছাড়তে গিয়ে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের। একাধিক আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা তেল আভিভ ও ইজরায়েলের অন্যান্য বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
অন্যদিকে ইজরায়েল-প্যালেস্তুাইনের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষে আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ তাদের দোসর দেশগুলি যেমন ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে, তেমনই গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করার দাবিতে সরব হয়েছে ইসলামি দেশগুলির সংগঠন আইওসি। রবিবার সংস্থার পক্ষ থেকে অবিলম্বে গাজা উপত্যকায় হামলা বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। হামাসের হামলার পিছনে ইন্দন জোগানোর কথা অস্বীকার করেছে ইরানও।