নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২৩-এর আইপিএল-এর ফাইনাল ম্যাচ বৃষ্টির কারণে গত রবিবার অনুষ্ঠিত হয়নি। তার বদলে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সোমবার। এর ফলেই সমস্যায় পড়েছেন আহমেদাবাদে আগত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা চেন্নাই সাপোর্টাররা।
এই সমস্ত সমর্থকরা তাঁদের অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আহমেদবাদের বেশ কয়েকটি হোটেলের মালিকদের বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ, রবিবার ম্যাচের পরই তাঁদের হোটেল ছেড়ে দেওয়ার কথা, কিন্তু ম্যাচ সোমবার হওয়াতে তাঁদের অধিকাংশকেই হোটেল ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। এবং তাঁদের কাছ থেকে আর নতুন করে কোনও বুকিংও নেওয়া হচ্ছে না। ফলে ঘের সমস্যার মধ্যে পড়েছেন চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, কোচি, গোয়া থেকে আগত অসংখ্য চেন্নাই সাপোর্টাররা।
তাঁদের একটাই বক্তব্য, থালাকে (ধোনিকে তাঁরা এই নামেই ডাকেন) যেহেতু চলতি আইপিএল-এর পর আর হলুদ জার্সিতে তাঁদের প্রিয় থালাকে দেখা না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, কাজেই তাঁরা থালার এই শেষ ম্যাচটি যেনতেন প্রকারেণ দেখতে মরিয়া। তাই তাঁরা এসেছেন আহমেদাবাদে। এবং সোমবারের ম্যাচ দেখেই তবেই তাঁরা পাড়ি দেবেন নিজ রাজ্যে, এমনটাই বক্তব্য তাঁদের। কিন্তু থাকার জায়গার অসুবিধার কারণে অনেক সমর্থকই রবিবার ও সোমবার সকালে পাড়ি দিয়েছেন নিজ নিজ ভূমে।
আরও জানতে পড়ুন: সেরা হয়ে মেসিকে ধন্যবাদ জানালেন সতীর্থ এমবাপ্পে
এদিকে হোটেল না মেলাতে চেন্নাই সাপোর্টাররা রাত কাটান আহমেদাবাদের রেল স্টেশনের ওয়েটিং রুমে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তা ভাইরালও হয়েছে। তবে ধোনির যে তাঁরা কতবড় ভক্ত তাঁর প্রমাণ গেল ইন্দোর থেকে আসা ব্যবসায়ী ভিকাশ কেদিয়ার কথায়। তিনি বলেন, আমি আমার ও দুই সন্তানকে নিয়ে এসেছি। আমার সন্তানরা ধোনির অন্ধ ভক্ত। কিন্তু ম্যাচ যেহেতু বাতিল হয়ে সোমবার হচ্ছে, তাই এখন হোটেলের সন্ধানে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। কিন্তু কোথাও থাকার জায়গা পাচ্ছি না।
শুধু আমি নয়, অসংখ্য চেন্নাই সাপোর্টারদেরই এইরকম বিপদের মুখে পড়তে হয়েছে বলে জানান তিনি। কেদিয়া আরও বলেন, কাজেই এই অবস্থায় অগত্যা বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন কেদিয়া। এবং তখন তাঁর বড় ছেলে ধোনির ছবি আঁকড়ে ধরে যে কান্নাকাটি করছিলেন তাও উল্লেখ করেন তিনি। শুধু কেদিয়াই নন, একই অভিজ্ঞতা অর্জন করেন ডক্টর চাভাদা, চেন্নাই আগত সুমিত লাহোরিরা।
এত অসুবিধা জানার পরেও আহমেদাবাদ প্রশাসনের তরফ থেকে কোনওরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তাঁদের।