নিজস্ব প্রতিনিধি: আইপিএল-এ চেন্নাই সুপার কিংসও প্লে-অফে যাওয়ার টিকিট আদায় করে নিয়েছে। এমনকি নিয়মরক্ষার ম্যাচেও তাদের থেকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দিল্লিকেও তারা শেষ ম্যাচে হারিয়েছে ৭৭ রানে।
চেন্নাই দল এবারের আইপিএল-এর আসরে গ্রুপলিগে মোট ১৪টি ম্যাচ খেলেছে, তার মধ্যে জয় পেয়েছে আটটি ম্যাচে। পরাজয় শিকার করেছে ৫টি ম্যাচে। একটি ম্যাচ বাতিল হয়। তাদের এই পারফরম্যান্স যথেষ্ট নজরকাড়া। কেননা যদি পরিসংখ্যান দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে যে চেন্নাই এই নিয়ে ১২ বার প্লে অফে খেলেছে। চলতি বছরের আগে ১১টি প্লে-অফের মধ্যে ৯বারই ফাইনালে খেলেছে মাহির দল। এবং চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চারবার।
দলের এই ধারবাহিক পারফরম্যান্স নিয়েই গত শনিবার ম্যাচ জেতার পর সাংবাদিকরা যখন তাঁর দলের এই ধারাবাহিকতা কিভাবে বজায় রাখেন, আলাদা কোনও উপকরণ আছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই ধোনি বলেন, আমার মনে হয় না এরজন্য আলাদা কোনও উপকরণ আছে। তবে আমি চেষ্টা করি ভালো খেলোয়াড়দের দলে নিতে। তাঁরা যে পজিশনে খেলতে পছন্দ করেন, সেটা দাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করি। কারণ, তাঁদের কাছ থেকে সেরা খেলাটা বার করে আনাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।
আরও জানতে পড়ুন: প্লে অফে যেতে গেলে মুম্বইকে বড় ব্যবধানে হারাতেই হবে হায়দরাবাদকে
আরও যে কারণগুলো রয়েছে সেগুলি হল, আমার দল সবসময় চেষ্টা করে কোনও খেলোয়াড় একবার ব্যর্থ হলেই তাঁকে দল থেকে বাদ না দিতে। বরঞ্চ তাঁকে ধারাবাহিকভাবে সুযোগ দিতে থাকি। আমরা জানি একদিন না একদিন সে দলের জন্য ঠিক জ্বলে উঠবেন। এবং তারপর থেকেই তাঁর আসল ফর্ম ফিরে পাবেন। উদাহরণ হিসেবে শিভম দূবেকেই দেখুন না। রাজস্থান ও বেঙ্গালুরুতে ব্যর্থ হয়ে শিভম দূরন্ত খেলছেন চেন্নাই-এর হয়ে এটাই আমাদের অন্যতম বৈশিষ্ট।
সবশেষে ধোনি বলেন, চেন্নাই দলের সাফল্যের আর একটা কারণ হচ্ছে, দলের ক্রিকেটাররা নিজেদের কথা না ভেবে সকলে মিলে দলের কথা ভাবেন, চিন্তা করেন। তাঁরা জানেন, দলের স্বার্থে কাউকে না কাউকে একদিন বসতে হতেই পারে, তাই নিয়ে তাঁরা মতবিরোধ প্রকাশ করেন না। এটাই অন্য দলগুলির থেকে আমার দলের আলাদা একটা বৈশিষ্ট। যা আমাদের প্রতিটি পদে ম্যাচ জিততে সাহায্য করে।