নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে যে চমকটা গুজরাট টাইটান্স দিল তা ম্যাচের আগেও বুঝতে পারেননি অনেকেই। দূরন্ত ছন্দে থাকা হার্দিক পাণ্ডিয়াকে বাদ দিয়ে টস করতে রশিদ খান। ফলে যা হওয়ার তাই হল। দূরন্ত ছন্দে থাকা গুজরাট দলটি বেশ কিছুটা ছন্দহীন হয়ে পড়ল নাইটদের বিপক্ষে। নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ২০৪ রান।
নাইটদের বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন এই ম্যাচে গুজরাটের অধিনায়ক রশিদ খান। অন্য ম্যাচের মতোই ওপেনিং জুটিতে ব্যাট হাত ক্রিজে এলেন বঙ্গ তনয় ঋদ্ধিমান ও ছন্দে থাকা শুভমন। হার্দিক না থাকায় গুজরাট দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে একটা প্রেসার যে ছিল তা তাঁদের শরীরী ভাষাই বলে দিচ্ছিল।
নাইটদের হয়ে গুজরাট দলে প্রথম আঘাতটা আনেন সুনীল নারিন। ঋদ্ধিমানকে ১৭ রানে আউট করেন তিনি। তারপর শুভমনের সঙ্গী হন চলতি আইপিএল-এ নজরকাড়া ক্রিকেটার সাই সুধাশরন। এরই মধ্যে ছন্দে থাকা শুভমনকে ৩৯ রানের মাথায় সাজঘরে পাঠিয়ে গুজরাট দলকে আবার বিপদের মুখে ঠেলে দেন সুনীল নারিন।
আরও জানতে পড়ুন: মোহনবাগানকে এখনও ভুলতে পারেননি উদয়https://www.eimuhurte.com/sports/uday-konar-speach/
সুনীলের পর বল হাতে এসে আবার সেনা চেনা ভেলকি দেখাতে শুরু করেন ইডেনে বেঙ্গালুরু বধের অন্যতম নায়ক সুয়স শর্মা। তাঁর প্রথম শিকার হলেন অভিনব মনোহর। এরপর আবার বল হাতে ঝলসে ওঠেন নারিন। ৩৮ বলে ৫৩ পূর্ণ করা সুধাশরনকে প্যাভিলয়নে পাঠিয়ে দিলেন তিনি। ততক্ষণে অবশ্য গুজরাট দল ১৫০ রানে গণ্ডি পার করে ফেলেছে। সুধাশরনের সঙ্গে জুটি বেঁধে নিজের অর্ধ্বশতরান পূর্ণ করলেন বিজয় শঙ্কর। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ৬৩ রানে।
মূলত গুজরাটের বিপক্ষে ম্যাচেও বোঝা গেল কেকেআর দলের বোলিং লাইন আপ পুরোপুরি স্পিন নির্ভর। সুনীল নারিন, সুয়সরা যখন একের পর এক উইকেট পাচ্ছেন তখন দলের পেস বোলিং-এর দৈন্য দশাটা বার বার ফুটে উঠছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে উমেশ যাদব, শার্দূল ঠাকুর, লকি ফার্গুসনরা আর কবে উইকেট পাবেন তা নিয়ে।