-273ºc,
Friday, 9th June, 2023 3:01 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি আইপিএল-এর প্লে-অফের দ্বিতীয় ম্যাচে বৃহস্পতিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে একপ্রকার নাস্তানাবুদ হয়ে ৮১ রানে হার মানল লখনউ সুপার জায়ান্টস। মুম্বই দলের জয়ের নেপথ্যে রইলেন এক তরুণ বোলার। মাধওয়াল নামক এই তরুণ বোলারটি একাই শেষ করে দিলেন লখনউ ব্যাটিং লাইনকে। মূলত তাঁর জন্যই চলতি আইপিএল থেকে খালি হাতে বিদায় নিতে হল ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার দলকে। মাধওয়াল ৩.৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৫ রান দিয়ে ঝুলিতে পুড়লেন পাঁচটি উইকেট। যা চলতি আইপিলএল-এ একটা অনন্য নজিরও বটে। এই ম্যাচে জয়ের ফলে আগামী শুক্রবার ফের রোহিতরা মুখোমুখি হবে গুজরাট টাইটান্সের। সেই ম্যাচে যে জিতবে সেই ফাইনালে ধোনির দলের প্রতিপক্ষ হিসেবে মাঠে নামবে।
বৃহস্পতিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ছিল প্রথম ম্যাচে হারের বদলা নেওয়ার ম্যাচ। কেননা চলতি আইপিএল-এর আসরে মুম্বই প্রথম দিকে একেবারেই ছন্দে ছিল না। পরের দিকে ছন্দ ফিরে পেয়েই সুযোগ পায় প্লে-অফে খেলার।
প্লে-অফের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে মুম্বই। দুই ওপেনার যথারীতি ব্যর্থ। ইষাণ ১৫ ও অধিনায়ক রোহিত ১১। এই দুটি উইকেট তুলে নেন যশ ঠাকুর ও নভিন উল হক। রোহিত-ইষাণ প্যাভেলিয়নে ফিরে যেতেই দলের যাবতীয় চাপ এসে পড়ে ক্যামরন গ্রিণের ওপর। গ্রিণ খেললেন বটে, তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হলেন না ক্রিজে। ২৩ বলে ৪১ রান করে তিনিও ফিরে গেলেন নভিন-এর বলে।
চলতি আইপিলএল-এ মুম্বই দলটা ব্যাটিংয়ে যাঁর দিকে তাকিয়ে থাকেন সেই সূর্যও বেশিক্ষণ থাকতে পারলেন না ক্রিজে। ২০ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেন বটে, কিন্তু তাঁকে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই সাজঘরের পথ দেখান সেই নভিন। তারপর ক্রিজে আসেন রোহিতের আর এক ব্যাটার তিলক ভার্মা। তিলকও চলতি আইপিএল- ছন্দে ছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই তিলকও যেন উত্তরসূরি হলেন আগের ব্যাটারদের। ১৩ রানে ফিরে গেলেন তিনও। লখনউ দলের হয়ে ততক্ষণে মুম্বই ব্যাটারদের কাছে ত্রাস হয়ে উঠেছেন নভিন-উল-হক নামের এক বোলার। মুম্বইয়কে শেষে কিছুটা টেনে নিয়ে গেলেন ওয়াধেরা। ১২ বলে ২৩ রান করে যশ ঠাকুরের শিকার হয়ে প্যাভেলিয়নে ফিরতে হল তাঁকে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৩ রানের টার্গেট লখনউ-এর সামনে খাড়া করে মুম্বই।
ব্যাট করতে নেমে ক্রুণাল পাণ্ডিয়া হয়তো ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি এইরকম বিপদের সামনে পড়তে হবে তাঁর দলকে। এর নামই যে ক্রিকেট। যেখানে পড়তে পড়তে বদলাতে থাকে ভাগ্য। ক্রুণালের দলের ক্ষেত্রও তাই হল। ১০০ রান পার করতে না করতেই সাত-সাতটি ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরলেন। কে নেই সেই তালিকায়। মায়ার্স থেকে ক্রুণাল নিজে পর্যন্ত। প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের সংগ্রহ মোট ২৯ রান।
লখনউ দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান স্টেইনস-এর। ২৭ বলে ৪০ রান করলেন তিনি। ক্রুণালের মতো ব্যর্থ নিকোলাস পুরাণও। চলতি আইপিলএল-একটি মাত্র ম্যাচ বাদ দিয়ে বাকি ম্যাচগুলিতে এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার ছিলেন নিজের অতীতের ছায়া। ফল যা হওয়ার তাই হল। ১৬ ওভার ৩ বলে ১০১ রানেই গুটিয়ে গেল লখনউ। গোটা আইপিএল-এর লিগ ম্যাচগুলি ভালো খেলেও প্লে-অফে মুম্বইয়ের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে এবারের মতো আইপিএল থেকে বিদায় নিল লখনউ সুপার জায়ান্টস।