নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি আইপিএল-এ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই দলের শুরুটা এইরকম জঘন্য হচ্ছে দেখে অনেকেই নাক সিঁটকেছিলেন। তাঁদের ধারণা ছিল যে ২০২৩-এর আইপিএল-এ রোহিত শর্মার দল লিগ টেবিলের নীচের দিক প্রথম না হয়। কিন্তু বর্তমানে সেই সমালোচকরা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন। কেননা বর্তমানে রোহিতের দল লিগ টেবিলের নীচের দিক থেকে প্রথম নয়, উপরের দিক থেকে ৩ নম্বরে রয়েছে।
এর কারণ অবশ্যই একজন ভারতীয় ব্যাটারের ছন্দ ফিরে পাওয়া। বলতে দ্বিধা নেই সেই ব্যাটসম্যান হলেন সূর্য কুমার যাদব। সূর্য যতদিন অস্তমিত ছিলেন, ততদিন আইসিইউ-তে ভেন্টিলেশনে ধুকছিলেন তাঁর দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও। কিন্তু যেই সূর্য ব্যাট হাতে উদিত হলেন, সঙ্গে সঙ্গে আইসিইউ থেকে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও।
লখনউ ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার আগে এই তরুণ ব্যাটসম্যানটির বিগত দুটি ম্যাচের পারফরম্যান্সের দিকে যদি লক্ষ্য করা যায় তাহলে দেখা যাবে, প্রথম ম্যাচে বিরাট কোহলিদের বিরুদ্ধে সূর্য কুমারের ব্যাট থেকে এসেছিল ৮৩ রান। ৩৫ বলে এই রান করেছিলেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে করলেন সেঞ্চুরি। বিপক্ষ দল ছিল গুজরাট। যে দলে মহম্মদ সামির মতো আরও অনেক অভিজ্ঞ বোলার আছেন তাঁদের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করলেন মাত্র ৪৯টি বল খেলে। অর্থাৎ দুই ম্যাচ মিলিয়ে ৮৪টি বল খেলে ১৮৬ রান। যা আইপিএল-এর ইতিহাসে কয়জনের আছে তা ইতিহাস ঘেঁটে বার করতে হবে।
কাজেই এ হেন একজন হেভিওয়েট ব্যাটসম্যানকে নিয়ে চিন্তা তো করতেই হবে বিপক্ষ দলের অধিনায়ককে। ক্রুণাল পাণ্ডিয়াও তাঁর ব্যতিক্রম নন। শুধু সূর্যই নন, ক্রুণালকে চিন্তায় রাখছেন আরও দুই মুম্বই ব্যাটার। এঁরা হলেন ইষাণ কিষাণ ও তিলক ভার্মা। ছন্দে না থাকলেও অবশ্যই ক্রুণালকে ভাবতে আরও একজনকে নিয়ে। তিনি রোহিত শর্মা। সূর্যের মতো তিনিও যে কখন ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি থেকে লখনউ ম্যাচেই জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরিতে পরিণত হবেন না এর গ্যারান্টি কেউ দিতে পারছেন না। কাজেই মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে এইসব চিন্তাতেই বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে ক্রুণাল পাণ্ডিয়া রয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকেই।
তবে যেহেতু চার নম্বরে রয়েছে লখনউ, কাজেই প্লে-অফের আগে এই ম্যাচে জিততেই হবে লখনউ-কে। কেননা ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে বিরাটের দল। কাজেই মুম্বই-এর কাছে হার মানেই বিপদ। এখন দেখা যাক মুম্বই-এর সূর্যকে অস্তমিত করে লখনউ ম্যাচ জিততে পারে কি না। নাকি সূর্যের তীব্র দহনে আগের দুই দলের মতো পুড়ে ছারখার হবে লখনউ, লক্ষ টাকার এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে মঙ্গলবার ম্যাচের পরই।