নিজস্ব প্রতিনিধি: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডি গ্রেফতার করেছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। তাঁর দাদার নাম অজয়কৃষ্ণ ভদ্র। অজয়ের দাবি, ভদ্র পরিবার সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ। অন্যদিকে, ধৃতের ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ধৃতের দাদার দাবি, তাঁরা বর্তমানে যে আরএসএস (RSS) ঘনিষ্ঠ তা নয়। বেশ কয়েক প্রজন্ম ধরেই তাঁরা সঙ্ঘ পরিবার ঘনিষ্ঠ। অজয় বলেন, তাঁদের সবচেয়ে বড় দাদা অমরকৃষ্ণ ভদ্র। তিনি এখনও আরএসএসের সক্রিয় কর্মী। ধৃত সুজয় না কি আগে আরএসএস করতেন। তারপরে না কি তৃণমূলে যোগ দেন। এদিকে সুজয় জায়া বীণা ভদ্রের দাবি, গ্রেফতারির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
ইডি তলবে সাড়া দিয়ে গতকাল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র হাজিরা দিয়েছিলেন সিজিও কমপ্লেক্সে। দীর্ঘ প্রায় ১১ ঘণ্টা জেরা করার পরে গত মঙ্গলবার ইডি গ্রেফতার করেছে সুজয়কে। আজ তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জোকা ইএসআই হাসপাতালে। এরপর তাঁকে পেশ করা হয় ব্যাঙ্কশাল হাসপাতালে। ইডি’র আবেদন ছিল, তাঁকে ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়ার। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫৯ মিনিটে সুজয় হাজিরা দিয়েছিলেন সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে। এরপরে প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে চলে ম্যারাথন জেরা। রাত্রি সাড়ে ৯টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে সিবিআই তাঁকে জেরা করেছিল। দু’বার সুজয়কে তলব করা হলেও একবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। আরেকবার নথি পাঠিয়েছিলেন আইনজীবীকে দিয়ে। প্রসঙ্গত, গত ৪ মে এবং ২০ মে তাঁর বাড়ি-ফ্ল্যাট-অফিস সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই এবং ইডি।
নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডলের। তাঁদের মুখেই প্রথম শোনা গিয়েছিল সুজয়ের নাম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ ছিল গ্রেফতার হওয়া ভদ্রের। ‘কালীঘাটের কাকু’ নামে সুজয়ের পরিচয় দেন গোপাল-তাপস। তবে সুজয়ের দাবি ছিল, তাঁর কর্মস্থল নিউ আলিপুর। তবে কেন এই (কালীঘাটের কাকু) নাম তা তিনি জানেন না।