নিজস্ব প্রতিনিধি: এক মাসও পূর্ণ হয়নি বিয়ের। চলতি মাসের প্রথম দিকেই গিয়েছিলেন হনিমুনে। কিন্তু সেটাই শেষ যাওয়া। হনিমুনের মধ্যে পাহাড়ের খাদে পড়ে মৃত্যু(Death) হল সদ্য বিবাহিতা যুবতীর। আর সেই ঘটনায় গ্রেফতার হলেন গৃহবধূর স্বামী। যদিও স্বামীর দাবি, সেলফি(Selfie) তুলতে দিয়ে গভীর খাদে পড়ে নববধূর মৃত্যু হয়েছে। যদিও ওই যুবতীর বাপের বাড়ির সদস্যরা দাবি করেছেন দাবি মতো পণ না পাওয়ার জেরেই ওই যুবতীকে পাহাড়ের খাদে ঠেলে ফেলে খুন করেছে অভিযুক্ত যুবক।
জানা গিয়েছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর মহকুমার আগরপাড়া এলাকার বাসিন্দা জয়িতা দাসের(Jayita Das) সঙ্গে বিয়ে হয় উত্তর কলকাতার পাইকপাড়ার বাসিন্দা রাহুল পোদ্দারের(Rahul Poddar)। বিয়ের আগে থেকেই দুইজনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। সেই জায়গা থেকেই দুই পরিবারের সন্মতিতেই বিয়ে হয় দুইজনের। যদিও এখন অভিযোগ উঠেছে বিয়ের পর থেকেই ১০ লক্ষ টাকা পণের দাবি জানাতে থাকে রাহুল। তা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদও বাঁধে। এর মধ্যেই চলতি মাসের ৪ তারিখে হিমাচল প্রদেশে(Himachal Pradesh) হনিমুনের জন্য পাড়ি দেন জয়িতা ও রাহুল। গতকালই কিন্নরে(Kinnar) পৌঁছন তাঁরা। আর দুপুরেই সেখানে মারা যান জয়িতা। রাহুলের দাবি, দুপুর আড়াইটে নাগাদ সুইসাইড পয়েন্টে সেলফি তুলতে গিয়ে খাদে পড়ে যান জয়িতা। প্রায় ৫০০ ফুট নিচে গভীর খাদে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় জয়িতার। তাই তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি জয়িতার।
সেই ঘটনার জেরে হিমাচল প্রদেশের পুলিশ রাহুলকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি ঘটনার সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা গাড়ির চালককেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পুলিশ মূলত এখন খতিয়ে দেখছে পা হড়কে পড়ে মারা গিয়েছে জয়িতা নাকি তাঁকে কেউ ঠেলে ফেলে দিয়েছিল। গতকাল সন্ধ্যাতেই হিমাচলের পুলিশ জয়িতার বাড়িতে ফোন করে খবর দেয়। রাতেই হিমাচলের পথে রওয়ানা দিয়েছেন জয়িতার দিদি, জামাইবাবু, শ্বশুর ও ভাশুর। তবে দুই পরিবারকেই এই ঘটনা কার্যত বিধ্বস্ত করে দিয়েছে।