নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ইডির মুখোমুখি হতে সিজিও কমপ্লেক্স পৌঁছলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১১.৩৪ নাগাদ তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছেছেন। ১১.১২ নাগাদ কালীঘাটের বাড়ি থেকে রওয়ানা দিয়েছিলেন অভিষেক। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে। সিজিও কমপ্লেক্স চত্বর কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা হয়েছে। হাইকোর্টের মৌখিক রক্ষাকবচ নিয়ে ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছেছেন অভিষেক।
লিপস অ্যান্ড বাউন্স কোম্পানির সঙ্গে তাঁর কোন ভূমিকা রয়েছে কিনা তা জিজ্ঞাসা করা হতে পারে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডল, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে অভিষেকের সম্পর্ক কি জানতে চাওয়া হতে পারে, কুন্তল ঘোষের চিঠি নিয়ে জানতে চাওয়া হতে পারে বলেই সূত্রের খবর। তিনজন অফিসার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলেই জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের বাড়িতে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সমন্বয় বৈঠক। সেই বৈঠক থেকে অভিষেককে রুখতেই ইডির সমন বলে তৃণমূলের অভিযোগ। পূর্বেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগ কর্মসূচী ফেলে ইডির সমনে হাজিরা দিতে ছুটে এসেছিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রুখতে রাজনৈতিকভাবে বিশেষ দিনগুলিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তলব করছে বলেই রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ।
সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছনোর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য উদ্ধৃতি করে রাজ্যের শাসকদলের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়, “বিজেপি আমার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে। আমার বিরুদ্ধে ইডি ও সিবিআই ব্যবহার করে জনপরিষেবা থেকে আমাকে আটকানো যাবেনা। মানুষের কাছে পৌঁছনো থেকেও রুখতে পারবেনা”।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে এখনও পর্যন্ত এই মামলার কিনারা করতে পারেনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহুবার তলব করা হয়েছে। তিনি তাঁর কর্মসূচি রেখে সাড়া দিয়েছেন। আসন্ন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই বারবার এই তলব বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।