নিজস্ব প্রতিনিধি: বাবা বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী। সেই সূত্রেই ছোট থেকেই বাবার ইলেকট্রনিক্সের জিনিসের প্রতি তার আগ্রহ। বাড়িতে ইলেকট্রনিক্সের সরঞ্জামের খেলনা এলেই খুলে দেখত উৎসুক ছেলেটি। সেই থেকেই ইলেকট্রনিক্সের জিনিসের প্রতি উৎসাহ বাড়তে থাকে। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাঝে মাঝেই তার চোখে পড়ত দৃষ্টিহীন মানুষের(Blind Persons) অসহায়তা। রাস্তাঘাটে চলার সময় কীভাবে নানান দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের। সেই জায়গা থেকেই শুরু চিন্তাভাবনা। শেষে সে বানিয়েও ফেলল এক Smart Cap, যা দৃষ্টিহীন মানুষেরা পড়ে রাস্তায় অনায়াসে চলাফেরা করতে পারবেন। পড়তে হবে না কোনও দুর্ঘটনার মুখে। এহেন আবিষ্কার করে এখন বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে হুগলি(Hooghly) জেলার ফরাসডাঙা মানে চন্দননগরের(Chandannagar) গোয়াবাগানের বাসিন্দা ধীমান ও দেবশ্রী রায়ের ছেলে Class 9’র পড়ুয়া আদিত্য রায়(Aditya Roy)।
আরও পড়ুন উচ্চমাধ্যমিকের ফল Review বা Scrutiny’র পদ্ধতি জেনে নিন
জানা গিয়েছে, চন্দননগর কানাইলাল বিদ্যামন্দির(Kanailal Vidyamandir) হাইস্কুলের পড়ুয়া আদিত্য তার পড়াশোনার ফাঁকেই এই Smart Cap বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এই টুপিতে থাকছে Ultrasonic System। এতে লাভ কী হবে? না এই Device’র সামনে কোন বস্তু এলে ওই Ultrasonic System থেকে তীব্র আওয়াজ বার হবে। তাতে যিনি টুপি পরে আছেন তিনি সতর্ক হয়ে যাবেন। এছাড়া টুপির মধ্যে থাকছে Bluetooth Headphone ও GPS Tracking System। সবটাই চলবে Solar Power বা সৌরশক্তিতে। সেই Power রিচার্জের জন্য System রয়েছে এই টুপির মধ্যেই। যারা দৃষ্টিহীন তাদের জন্য এই টুপি বিশেষ কার্যকরী হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। আদিত্য চায় এই Project-কে আরও উন্নত করতে এবং যদি কোন কোম্পানি এগিয়ে আসে তাহলে এই টুপিকে বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন করতে। এখন এই টুপি কিনতে হলে খরচ করতে হচ্ছে ২ হাজার টাকা। কিন্তু যখন অনেক বেশি করে তা তৈরি হবে তখন দামও কমবে।
আরও পড়ুন চাই মোটা মাইনের চাকরি, লোক নিচ্ছে Kharagpur IIT
জানা গিয়েছে, ছোট বেলায় স্কুলে যাওয়ার সময় রাস্তায় অন্ধ মানুষদের দেখে তাঁদের প্রতি সহানুভূতি তৈরি হতো আদিত্যর। সেই সব মানুষদের জন্য কিছু একটা করার ইচ্ছাও হয়েছিল তার। বিশেষ করে রাস্তা পারাপার করার সময় বা পথ চলার সময় দৃষ্টিহীন মানুষদের যে একটা অবলম্বনের প্রয়োজন রয়েছে সেটা আদিত্য বেশ ভালই বুঝেছিল। সেই রাস্তায় হেঁটেই এখন Smart Cap বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে আদিত্য। এই টুপিতে থাকা 5000 MH’র ব্যাটারি দিয়ে আবার চার্জ দেওয়া যাবে মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে অন্যান্য জরুরী ইলেকট্রনিক্স জিনিসও। এখন আদিত্যর তৈরি এই Smart Cap’র পেটেন্ট নেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁর পরিবার।