নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্দেশখালিকাণ্ডে বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar) টাকিতে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি জড়িয়ে পড়েছিলেন। গেরুয়া শিবিরের তরফে সেই ঘটনাকে ‘হামলাবাজি’ বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সেই ঘটনার জেরে রাজ্যের মুখ্যসচিব(Chief Secretary of West Bengal) ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা(B P Gopalika) সহ ৫ আধিকারিককে ডেকে পাঠিয়েছিল লোকসভার স্বাধিকার কমিটি(Loksabha Privilege Committee)। মুখ্যসচিব ছাড়াও ডেকে পাঠানো হয়েছিল রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী, বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান এবং বসিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষকে। তাঁদের সবাইকে এদিনই অর্থাৎ ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় কমিটির সদস্যদের মুখোমুখি হতে বলা হয়েছিল। যদিও তার আগেই এদিন ওই ৫ আধিকারিক সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court) মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট সংসদীয় কমিটির তলবের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে দিয়েছে। আর তারপরেই সংসদীয় কমিটিকে ট্যুইট করে নিশানা বানিয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র(Mohua Moitra)।
এদিন সুপ্রিম নির্দেশের পরই বিজেপিকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি মহুয়া। সংসদীয় কমিটি বিজেপির পার্টি অফিসের নির্দেশে চলছে, এমনটাই এদিন তিনি ট্যুইট করে দাবি করেছেন। একইসঙ্গে লিখেছেন, এইভাবে কমিটির দুর্ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। সুপ্রিম নির্দেশের জেরে আপাতত রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার সহ ৫ প্রশাসনিক কর্তাকে দিল্লি যেতে হচ্ছে না। তবে ৪ সপ্তাহ বাদে তাঁদের মামলার আবারও শুনানি থাকছে। এদিন সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার সঙ্গে জড়িত সব পক্ষকেই নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও এদিন মামলার শুনানির আগেই উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসক শরদ দ্বিবেদী, জেলার পুলিশ সুপার হোসেম মেহেদি রহমান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ দিল্লি না যাওয়ার বিষয়ে আগেই তাঁদের অপারগতার কথা জানিয়ে দেন। এরপর সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন না বলে জানান মুখ্যসচিব ও ডিজি। নবান্নর তরফে লোকসভার স্বাধিকার কমিটিকে তাঁদের সাক্ষ্য দেওয়ার দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়ার কথাও জানানো হয়।