এই মুহূর্তে

চিন্ময় প্রভুকে নিয়ে ইসকনের পাশে দাঁড়াতে চায় অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা

নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু এবং মডারেট মুসলিমদের গণহত্যার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেই প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে ভারতের প্রাচীন রাজনৈতিক দল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা(Akhil Bharat Hindu Mahasava) । রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামীর নেতৃত্বে একদিকে তারা যেমন ভারতে চিকিৎসা করতে আসা বাংলাদেশীদের সামাজিকভাবে বয়কট করার ডাক দিয়েছে, বাংলাদেশের হাই কমিশনে ডেপুটেশন জমা দিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে। এছাড়া প্রকাশ্য রাস্তায় এবং মেট্রো স্টেশন গুলোর সামনে বাংলাদেশী কোম্পানির খাদ্যবস্তু এবং পোশাক আগুনে জ্বালিয়ে দিয়েছে ।

বাংলাদেশের পণ্য কিনে কুকুরকে খাইয়েছে খোলা রাস্তায়।সেই রকম বুধবার তারা আরো এক ধাপ এগিয়ে হিন্দু মহাসভার বিশিষ্ট আইনজীবীদের নিয়ে গঠিত শাখা সংগঠন “ন্যায়বিচার মঞ্চ” আন্তর্জাতিক আদালতে আইনি লড়াইয়ে ইসকন কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে। চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য, চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে যে অন্যায় ভাবে আটক করা হয়েছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও লজ্জা দেয় । শুধু তাই নয় ,সারা পৃথিবীতে কৃষ্ণের বাণী প্রচার এবং সমাজসেবা করার জন্য প্রসিদ্ধ আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে ইসকন যেভাবে কাজ করে আসছে তার পরেও তাদের সমাজের ক্যানসার বলে চিহ্নিত করে প্রকাশ্যে গণহত্যা করার হুমকি দিচ্ছে ইসলামিক মৌলবাদী সন্ত্রাসীরা । আর সেটা দেখে বাংলাদেশের তথাকথিত মোল্লা অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকার তাদের আরো উৎসাহিত করছে এবং একই ভাষায় কথা বলছে। এর থেকেই প্রমাণিত হয় বাংলাদেশে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই, সারা দেশটাই নিয়ন্ত্রণ করছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ।

শুধু তাই নয়, সরকারী আমলা এবং বি.এন.পি. নেতারা হুঙ্কার দিচ্ছে কলকাতা, বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা এবং অসম, ত্রিপুরা সহ উত্তরপূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য দখল করে নেওয়ার । এটা সন্ত্রাসবাদীদের “গাজবা ই হিন্দ” নামক সন্ত্রাসেরই অংশ । এই বিষয়কে লঘু করে দেখা মূর্খামি । পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার উভয়ের উপরই আমাদের শ্রদ্ধা এবং আস্থা রয়েছে । কিন্তু এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চুপ রয়েছেন । আমরা ভারত সরকারের কাছ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ আশা করছি । স্বাধীনতার পর থেকে আজ অবধি সম্ভবত ভারতের অতিরিক্ত সহনশীলতা, ধৈর্যশীলতা এবং তোষণের মূলক বৈদেশিক নীতির জন্যই বৈদেশিক শক্তি উগ্রতা দেখানোর সুযোগ পায় এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে আমাদের সম্পর্ক খারাপ এই কারণে খারাপ । বুধবার হিন্দু মহাসভার অফিস সেক্রেটারি অনামিকা মন্ডল বলেন, বাংলাদেশে যেভাবে শিশু ও মহিলাদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে তা এক কথায় মানবতার লজ্জা । ক্ষমা পরম ধর্ম হলেও ধর্ম রক্ষায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজেই প্রমাণ দিয়েছেন অস্ত্র ধারণ করা প্রয়োজন । মহিলা মোর্চার সদস্যা প্রজ্ঞা ভারতীর বক্তব্য আমরা কোন মূল্যেই আর অত্যাচার সহ্য করতে আগ্রহী নই । প্রয়োজনে প্রতিরোধ ও প্রতিশোধ নেওয়া প্রয়োজন ।

হিন্দু মহাসভার আইনী উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট দীনেশ পানি বললেন যেহেতু ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে(International Court Of Justice) ব্যক্তিগত ভাবে যাওয়া যায়না তাই সাংগঠনিক ভাবেই হিন্দু মহাসভা ইসকনের সাথে আলোচনা করে বাংলাদেশের ইসকনের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী । এক্ষেত্রে মানুষের নিরাপত্তা ও ধর্মাচরণের অধিকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আর্টিকেলের আঠেরো নম্বর ধারা এবং উনিশ নম্বর ধারা লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেই আমরা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে কেস করতে বাধ্য হচ্ছি । ইসকন শীর্ষকর্তৃপক্ষও আজকের কর্মসূচির জন্য অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বঙ্গে উষ্ণতম মকর সংক্রান্তি, কবে নামবে পারদ? জানাল হাওয়া অফিস

‘বিষাক্ত’ স্যালাইন কাণ্ড: ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের

২৩ জানুয়ারি থেকে টানা ৪ দিন শিয়ালদহ – ডানকুনি শাখায় একাধিক ট্রেন পরিষেবা বন্ধ

মকর সংক্রান্তিতে রাজ্যের একাধিক জেলায় কুয়াশার সর্তকতা বার্তা জারি আবহাওয়া দফতরের

ওয়ার্ডের বাইরে জড়ো ‘রিঙ্গার ল্যাকটেট’, নিষিদ্ধ স্যালাইন বাতিলের কাজ শুরু এসএসকেএমে

নব নালন্দা স্কুলে কাচ ভেঙে আহত পড়ুয়া, অভিভাবকদের সঙ্গে মঙ্গলেই বৈঠকে কর্তৃপক্ষ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর