নিজস্ব প্রতিনিধি: নিজের বাড়িতে, নিজের ঘরেই নৃশংসভাবে খুন(Murder) হয়ে গেলেন হাওড়া পুরনিগমের(Howrah Municipal Corporation) এক অস্থায়ী কর্মী(Temporary Worker)। শনিবার রাতে হাওড়ার সালকিয়ায়(Salkia) মালিপাঁচঘরা থানা এলাকার বাসিন্দা শশাঙ্ক চট্টোপাধ্যায়(৫০) ওরফে মধুকে তাঁর নিজের ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন ওই বাড়িরই বাসিন্দারা। এরপর মালিপাঁচঘড়া থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তাঁরাই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পুলিশ সূত্রে খবর ঘটনাস্থলে কোন অস্ত্র পাওয়া না গেলেও ভাঙা কাঁচের বোতল এবং গ্লাস পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে বিভিন্ন রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ফরেনসিক টিমকেও ডাকা হয়েছে। পুলিশ এখন মধুবাবুর এক বন্ধুকে খোঁজ করছে যে গতকাল দুপুরে ওই বাড়িতে এসেছিল বলে বাড়ির অনান্য বাসিন্দারা দাবি করেছেন।
জানা গিয়েছে, গতকাল দুপুর ১২টা নাগাদ মধুবাবুর এক বন্ধু ওই বাড়িতে এসেছিল। দুজনে মিলে দুপুরের খাওয়া-দাওয়ার পর মদ্যপান শুরু করেন। সন্ধেবেলা পর্যন্ত দুজনকে এক সঙ্গে ঘরে বসে মদ্যপান করতে দেখা যায়। রাত ১০টা নাগাদ মধুবাবুর দাদা দোকান বন্ধ করে যখন বাড়ি ফেরেন তখন ঘরের দরজা খুলে উঁকি মারলে তিনি দেখেন মধুবাবুর দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মেঝেতে। দেহের চারপাশে চাপ চাপ রক্ত পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়াও মদের ভাঙ্গা বোতল এবং কাচের গ্লাস পাওয়া যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গলায় এবং দেহের অন্যান্য অংশে গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ভাঙা কাঁচের বোতল দিয়ে তাকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। দেহ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্যই ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় তার। পুলিশ এখন মধুবাবুর ওই বন্ধুর সন্ধান শুরু করেছে।