এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ঐতিহ্যে অনন্য উত্তর কলকাতার পাথুরিয়াঘাটার বড় কালীর পুজো

Courtesy - Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: হাতেগোনা আর কয়েকটা দিন মাত্র। তারপরেই আগামী ১২ নভেম্বর বাঙালি মেতে উঠবে কালিপুজোয়(Kali Puja 2023)। আর কালীর শহর কলকাতাও(Kolkata) এই সময় ফের সেজে ওঠে উৎসবের আলোতে। কলকাতার বুকে বিশেষ করে উত্তর কলকাতায় কালিপুজোর(Kali Puja) ধূম দক্ষিণের থেকে কিঞ্চিৎ বেশি। সেই সূত্রেই চলে আসে পাথুরিয়াঘাটা বড় কালী(Pathuriaghata Boro Kali) পুজোর কথা। ১৯২৮ সালে শুরু হওয়া এই পুজোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুও। নিমতলা ঘাট স্ট্রিট লাগোয়া প্রসন্ন কুমার ঠাকুর ঘাট চত্বরে এই পুজো ২০২৭ সালে শতবর্ষে পা রাখবে। এই পুজোর সঙ্গে পরতে পরতে জড়িয়ে আছে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বদেশী আন্দোলনের ইতিহাস। ১৯৩০ সালে এই পুজোর প্রেসিডেন্ট হন কলকাতার তৎকালীন মেয়র সুভাষ চন্দ্র বসু(Netaji Subhash Chandra Bose)। আর সেই কারণেই কলকাতার আর ৫টা কালী পুজোর থেকে এই পুজোর ঐতিহ্যই আলাদা। 

পাথুরিয়াঘাটা্র এই বড় কালী মায়ের মূর্তির উচ্চতা প্রথম থেকেই এক। ৩২ ফুট। মায়ের রুপোর খাঁড়ার দৈর্ঘ্য ৬ ফুট। মায়ের সঙ্গে থাকে রুপোর নরকরোটি, যার উচ্চতা ৩ ফুট। কানে থাকে রুপোর পানপাতা, সেটিও ১ ফুটের। সোনা ও রূপো মিলিয়ে মায়ের গায়ে ৭৫কেজিরও বেশি গয়না থাকে। সেই রাজ বেশেই মাকে বিসর্জনের দিন ৯ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে শোভাযাত্রা করানো হয়, যা দেখতে কার্যত উত্তর কলকাতা রাস্তায় এসে নামে। পুজোর পরের দিন অন্নকূট উৎসবে প্রায় দেড় হাজার দরিদ্র নারায়ণ সেবা হয়। এই পুজো কয়েক দশক ধরে কলকাতায় ‘বড় কালী’ বলেই পরিচিত। এই পুজোয় মায়ের উচ্চতার হেরফের না হলেও গায়ের রঙের পরিবর্তন ঘটেছে। শুরুর দিকে প্রতিমা নীল রঙেরও ছিল না। ছিল কালো রঙের। এক বছর প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় বিপত্তি ঘটে। অনেকেই বলেছিলেন কালো মায়ের পুজো শাক্ত মতে হওয়া দরকার ছিল। কিন্তু পাথুরিয়াঘাটায় বড় কালীর পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। তাই সব মিলিয়ে আলোচনা করে বদলে যায় মায়ের গায়ের রঙ। ঠিক হয়, পুজো যখন বৈষ্ণব মতে হবে তখন মায়ের গায়ের রঙও বিষ্ণুর মতো নীল রঙেরই করা হোক। সেই থেকেই মা নীলাম্বরী।

মা এখানে জাগ্রত বলেই বিবেচিত হন। তাই শয়ে শয়ে মানুষ মানত করেন মায়ের কাছে। ইচ্ছাপূরণ হলে মায়ের কাছে মানতের পুজো দিয়ে যান। সেই সূত্রেই মায়ের জিভ সোনার। তাছাড়াও সোনা, রূপো মিলিয়ে হার, চোখ, আংটি, আম্রপল্লব, জবা ফুল, চাঁদ মালা, পঞ্চপ্রদীপ, ঘটসহ আরও একগুচ্ছ গয়না আর পুজোর সামগ্রী কার্যত মায়ের নিজস্ব সম্পদ বলেই বিবেচিত হয়। এই মুহূর্তে পুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। প্রতিমার গায়ে রঙ পড়েনি অবশ্য এখনও। এখানে পুজোর দিন প্রতিমায় মাল্যদানের পর নদী থেকে আড়াই ফুটের একটি রুপোর বড় কলসিতে জল ভরে আনতে হয়। সেই রুপোর কলসি মাথায় করে নিয়ে আসেন পুজো কমিটির সদস্যরা। তারপর ঘটস্থাপন করে শুরু হয় পুজো। পুজোর জন্য ৫৬ ভোগের আয়োজন করা হয়। তার সঙ্গেই ৫ রকমের মিষ্টি দেওয়া হয় মা’কে। লাড্ডু, জিভে গজা, খাজা, মালপোয়া এবং জিলিপি। পুজোর পরের দিন দেখার মতো এদের অন্নকূট উৎসব। দেড় হাজার দরিদ্র নারায়ণ সেবা হয়। সেদিনই আবার হয় মঙ্গলারতি যা দেখতে জড়ো হন প্রচুর মানুষ। বিসর্জনের দিন কমিটির পুরুষ সদস্যরা ধুতি-পাঞ্জাবি ও মহিলারা আটপৌড়ে লালপেড়ে সাদা শাড়ি পরে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। সেই সঙ্গে প্রত্যেকেই খালি পায়ে হাঁটেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সিটি সেন্টারে ভোটদানে উৎসাহ প্রদান প্রশাসনের, তৈরি সেলফি জোন

রবিবার কলকাতা তেঁতে পুড়ে যাবে, উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ঝড় -বৃষ্টির পূর্বাভাস

এবার আর Vote Boycot’র ডাক দিচ্ছে না Smart City Newtown

‘গতর খাটিয়ে খাই, শ্রমিকের অধিকার চাই’, মে দিবসে বন্ধ থাকবে সোনাগাছি

হাওড়ার ডুমুরজলায় হচ্ছে না মোদির সভা, বড় ধাক্কা রথীনের

রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, দাবি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর