নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তর শহরতলির বেলঘড়িয়াতে(Belgharia) প্রতি বছর ভিড় ক্রমশই বেড়ে চলেছে রথযাত্রার(Rath Jatra) আয়োজনকে ঘিরে। প্রতি বছর বেলঘড়িয়ার রথতলায়(Rathtala) আয়োজিত হয় রথযাত্রার। এবারেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। বেলঘড়িয়ার এই রথযাত্রার বাড়তি আকর্ষণ পুরীর(Puri) ধাঁচে তিন দেবতার জন্য নির্মীত ৩টি পৃথক পৃথক রথ। বেলঘড়িয়ার রথতলা মোড়েই তৈরি হয় সেই ৩টি রথ। এবারে ওড়িশার রাউরকেলা থেকে আনা কাঠ দিয়ে তৈরি হয়েছে জগন্নাথদেবের রথ। এখানে জগন্নাথদেবের রথের উচ্চতা ৩৫ ফুট। বাকি দু’টির উচ্চতা যথাক্রমে ৩২ এবং ৩৩ ফুট। পেরেকের বদলে কাঠের ‘গুঞ্জ’ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই তিনটি রথ। পুরোপুরি পুরীর আদলেই রথযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে এখানে।
আরও পড়ুন ইস্কনের রথযাত্রার উদ্বোধনে শান্তির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
বেলঘড়িয়ার এই রথযাত্রাকে ঘিরে এদিন দুপুর থেকেই কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বি টি রোড। পুলিশ তাই বিকল্প রুটে বাস ও অনান্য যানবাহণ ঘুরিয়ে দিচ্ছে। বি টি রোডের কলকাতামুখী লেন ধরে রথতলা থেকে প্রসাদনগরের দিকে ১২০০ মিটার যাবে এই ৩টি রথ। ফলে এই লেনে এদিন দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। ভিড় সামাল দিতে নামানো হয়েছে প্রচুর পুলিশ। রথতলা জগন্নাথ মন্দির কমিটির উদ্যোগেই বের হবে তিনটি রথ। মন্দির কমিটির সভাপতি সোমনাথ রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, ওড়িশার রাউরকেলার গন্ধমাধন জঙ্গল থেকে ধৌরা, অসন, ফাঁসি— এই বিশেষ তিন ধরনের কাঠ এনে রথ তৈরি হয়েছে। পুরী থেকে আসা ৪৭ জন ‘মহারাজা’ গত ৩ মাস ধরে রথ তৈরি করেছেন।
আরও পড়ুন মাহেশে ৬২৭ বছরের রথে চড়ে মাসির বাড়ি যাবেন জগন্নাথ
পুরী থেকে জগন্নাথদের রথের জন্য কালো, সুভদ্রার রথের জন্য সবুজ এবং বলভদ্রের রথের জন্য হলুদ রংয়ের কাপড় আনা হয়েছে। খরচ হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা। এই রথ আগামী ৭দিন থাকবে দুলালনগরের মাঠে। ওই মাঠেই অস্থায়ী গুণ্ডিচা মন্দির তৈরি করা হয়েছে। রথযাত্রার সূচনা করবেন তারকেশ্বর মন্দিরের মোহন্ত শ্রীমৎ সুরেশ্বরাশ্রম মোহন্ত মহারাজ।