নিজস্ব প্রতিনিধি: একই দলে থাকলেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন মুখিয়া দিলীপ ঘোষের শীতল সম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। সুযোগ পেলেই একে অন্যকে কথার চিমটি কাটতে ছাড়েন না। বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব চেষ্টা চালালেও তৃণমূল কংগ্রেস থেকে পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়া শিশির-পুত্রের সঙ্গে সন্ধি করতে রাজি হননি মেদিনীপুরের সাংসদ। মঙ্গলবার ফের নলহাটির বিতর্কিত তৃণমূল নেতা তথা আয়ারাম-গয়ারাম হিসেবে পরিচিত বিপ্লব ওঝার দলে যোগদান নিয়ে ফের নাম না করে বিরোধী দলনেতাকে ঠুকেছেন দিলীপ ঘোষ। কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘এখন তো তৃণমূল থেকে এলেই সন্দেহ হয়, জানি না কোন কালি আবার লেগে আছে!’
রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে ঠেকে যাওয়া নলহাটির তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বিপ্লব ওঝা এদিনই ঘাসফুল শিবির ছেড়ে শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় পদ্ম পতাকা হাতে নিয়েছেন। একসময়ে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল করা বিতর্কিত নেতার দলে যোগদান নিয়ে বীরভূমের বিজেপির নিচুতলার নেতা-কর্মীরা যথেষ্টই ক্ষুব্ধ। অনেকেই বলছেন, ‘যার রাজনৈতিক আনুগত্য বলে কিছু নেই, নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে যিনি দলবদলু হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন, তাঁকে কেন দলে নেওয়া হল?’ আগেভাগে কোনও কথা না বলে জেলা পরিষদের বিতর্কিত ও নানা অভিযোগে অভিযুক্ত নেতাকে দলে নেওয়ায় শুভেন্দুর উপরে ক্ষুব্ধ বীরভূম জেলা বিজেপি নেতৃত্বও। এদিন বিপ্লব দলে যোগ দিচ্ছেন জানতে পেরে বিজেপির অনেক নেতা-কর্মীই শুভেন্দুর সভায় হাজির হননি। ফলে ফাঁকা মাঠেই সভা করতে হয়েছে বিরোধী দলনেতাকে।
এদিন নানা অভিযোগে অভিযুক্ত শাসকদলের প্রাক্তন নেতাকে দলে নেওয়া নিয়ে বিরোধী দলনেতাকে ঠুকেছেন দিলীপ ঘোষ। কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘আমাদের এখানে তো সব সময় যোগদান লেগেই থাকে। কে কেন যোগদান করছেন, তা বলতে পারব না। যাঁরা যোগ দান করিয়েছেন, তারা নিশ্চই খোঁজখবর নিয়েই করেছেন। তৃণমূল থেকে এলেই সন্দেহ জাগে! কোন কালি তুলতে এসেছেন কে জানে?’