নিজস্ব প্রতিনিধি: দেবী সরস্বতী(Devi Saraswati) বিদ্যার দেবী। তাই তাঁর পুজোর দিনেই বাংলার ঘরে ঘরে শুধু যে তাঁর পূজার্চণার আয়োজন করা হয় তাই না, রাজ্যের স্কুলে স্কুলে, কলেজে কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়েও বাগদেবীর আরাধনা করা হয়। পলাশপ্রিয়ার এই আরাধনার দিনেই দেশজুড়ে অনেক কচিকাঁচাদের হাতেখড়িও দেওয়া হয় যাতে তাঁরা বিদ্যাদেবীর আশির্বাদ পায় ও পড়াশোনায় মেধাবী হয়ে ওঠে। তাই হাতেখড়ির(Hate Khari) দৃশ্য ও ঘটনা খুবই সাধারন। কিন্তু সেই হাতেখড়ি যদি কোনও রাজ্যপালের হয়, তাহলে কেমন হয়! অবশ্যই তা দেশের প্রশাসনিক ইতিহাসে বিরল ঘটনা হিসাবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে। সেই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকল গোটা বাংলা ও দেশের মানুষ। কেননা বৃহস্পতিবার সরস্বতী পুজোর দিনেই বাংলার রাজ্যপাল(Bengal Govornor) সি ভি আনন্দ বোস(C V Anand Bose) কলকাতার রাজভবনে সম্পন্ন করলেন তাঁর হাতেখড়ি। এমনকি দিলেন গুরুদক্ষিণাও। এক দ্বাদশ বর্ষীয়ার হাত ধরে তিনি লিখলেন, ‘অ আ’। সেই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সহ বিশিষ্টজনেরা।
আরও পড়ুন রাজ্যের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে এবার ‘চোখের আলো’ শিবির
বাংলার রাজ্যপাল তামিল। বাংলা ভাষায় তিনি তাই লিখতে ও পড়তে জানেন না। কিন্তু এক সময় কর্মসূত্রে তিনি বাংলার বাসিন্দা ছিলেন। সেই সূত্রেই বাংলা ভাষার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ। গড়ে ওঠে আত্মিক টান। রবীন্দ্রনাথ তাঁর প্রিয় কবি। দ্বরাজকন্ঠে রবির কবিতা আবৃত্তি তিনি আজও করতে পারেন। সেই কবিতা তিনি মুখস্ত করেন শুনে শুনে। কিন্তু মনে তাঁর আক্ষেপ ছিল, বাংলা ভাষা না শেখা নিয়ে। জীবন সায়হ্নে যখন তিনি বাংলারই রাজ্যপাল হিসাবে এলেন তখন আর খামতি রাখলেন না তা শেখার জন্য। সেই জন্য বেছে বেছে সরস্বতী পুজোর দিনেই বাংলার রাজভবনে আয়োজিত হল রাজ্যপালের হাতেখড়ির অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যের সচিবেরা, মন্ত্রীরা, বিধায়কেরা, সাংসদরা। উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়ও। ঘটনাচক্রে এদিনই গণতন্ত্র দিবস। প্রতিবছর এদিনের সন্ধ্যায় রাজভবনে আয়োজিত হয় চা-চক্র যা রাজ্যপালের তরফে আয়োজিত হয়। সেখানে আমন্ত্রিত থাকেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সহ গণমান্য ব্যক্তিরা। এবারে সেই অনুষ্ঠানের সঙ্গে বাড়তি পাওয়া রাজ্যপালের এই হাতে খড়ির অনুষ্ঠান।