এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাংলার DA মামলা যেতে পারে সাংবিধানিক বেঞ্চে

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার সরকারি কর্মচারীদের(West Bengal State Government Employee) বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা বা DA নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টে। আগামী ২১ মার্চ সেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর ৫ ডিসেম্বর মামলাটি প্রথম বার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court) ওঠে। পরে শুনানির দিন পিছিয়ে ১৪ ডিসেম্বর করা হয়। সেই থেকে দিন পিছিয়েই চলেছে। এখন কার্যত অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের অপেক্ষা দীর্ঘতর হতে চলেছে। একই সঙ্গে দিল্লির আইনজীবী মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ খুব শীঘ্রই সাংবিধানিক বেঞ্চে(Constitutional Bench) ঠেলে দিতে পারে কিংবা ৭ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে মামলার শুনানি করতে পারে।

আরও পড়ুন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে Grievance Cell জোরদার করছেন মমতা

কিন্তু কেন এমনটা হতে পারে? রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের দাবি তাঁদের মহার্ঘ্য ভাতা বা DA দিতে হবে কেন্দ্রের প্রদেয় হার মেনেই। অর্থাত্‍ ৩৮ শতাংশ হারে। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই মুহুর্তে ৩ শতাংশের বেশি মহার্ঘ্য ভাতা বা DA দেওয়া সম্ভব নয়। কার্যত এই টানাপোড়েনের জেরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে দুই পক্ষই। সরকারি কর্মচারীদের তরফ থেকে দেশের শীর্ষ আদালতে যে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে তা হল, ২০০৯ সালে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার বিধানসভায় একটি আইন পাশ করে WPDCL’র কর্মচারীদের জন্য। সংশ্লিষ্ট ওই আইনে বলা হয়, ওই কর্মচারীরা বেতন ও মহার্ঘভাতা পাবেন। কিন্তু পেনশন পাবেন না। ২০২০-২০২১ আর্থিক বছরে কোভিডের জন্য বর্তমান সরকার ঘোষণা করে, ওই কর্মচারীরা শুধুমাত্র বেতন পাবেন। কিন্তু মহার্ঘভাতা ও পেনশন পাবেন না। পরবর্তীকালে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কর্মচারীরা। কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রায় দেয়। আদালতের বক্তব্য, যেহেতু রাজ্য সরকার মহার্ঘভাতা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ, তাই তাদের মহার্ঘভাতা দিতে হবে। এখন এই দুই মামলার রায়কেই হাতিয়ার করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকারের একটি সংস্থার কর্মীরা DA মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট পরিষ্কার বলেছে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা দিতে হবে। সেটা তাঁদের মৌলিক অধিকার। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কেন তা দেবে না!

আরও পড়ুন ১৫ হাজার কোটিরও বেশি অর্থে BrahMos Missile কিনছে মোদি সরকার

অন্যদিকে রাজ্য সরকারের আইনজীবীদের দাবি, বাংলায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা DA পাচ্ছেন না বলে যেটা প্রচার করা হচ্ছে বা বলা হচ্ছে সেটা সর্বৈব মিথ্যা। রাজ্য সরকার ৩ শতাংশ হারে DA দিচ্ছে। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রের মতো ৩৮ শতাংশ হারে দিতে হবে। সেটা সম্ভব নয়। তাছাড়া, ১৯৫৪ সালের সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছিল মহার্ঘভাতা নির্ভর করবে রাজ্যের সিদ্ধান্তের ওপরে। রাজ্য DA নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য নয়। কত শতাংশ হারে DA দেওয়া হবে সেই সিদ্ধান্তও রাজ্য সরকারই নেবে। সেই রায় এখনও পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের কোনও বেঞ্চই খারিজ করেনি। সেই রায় এখনও লাগু আছে। তাছাড়া ২০০৯ সালের আইন কেবলমাত্র WPDCL’র কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য। রাজ্যের সব কর্মচারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সেই রায়কে হাতিয়ার কেন করা হচ্ছে এই মামলায়! তাছাড়া ৫ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া রায় খারিজ করে ভিন্ন রায় দিতে হলে তো নূন্যতম ৭জন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ গড়তে হবে। সেটাও তো দেখা যাচ্ছে না। আর এখানেই দিল্লির আইনজীবী মহলের ধারনা বাংলার DA মামলা নিয়ে ৩টি পদক্ষেপ করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন মমতার BSK’র ধাঁচে পরিষেবা কেন্দ্র চালুতে আগ্রহী ওপার বাংলাও

কী কী পদক্ষেপ? এক, মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে। এই ধরনের সম্ভাবনা যথেষ্টই। দুই, মামলার শুনানি শেষে ১৯৫৪ সালের রায় বহাল রাখতে পারে সুপ্রিম কোর্টের ৩ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। কেননা, ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চের রায়কেই মান্যতা দিতে হবে সমস্ত আদালতকে। তিন, বৃহত্তর বেঞ্চ ৭ সদস্যের নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করে মামলার শুনানি করতে পারে। যার সম্ভাব না এখনই দেখা যাচ্ছে না। তাই সব মিলিয়ে বাংলার DA মামলার যে দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে তেমনটা মোটেও মনে হচ্ছে না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

গার্ডেনরিচকাণ্ডের জের, বদলি করা হল কলকাতা পুরসভার ৩১ জন ইঞ্জিনিয়ারকে

বোসকে নিয়ে ভোট বাংলায় বিপাকে বিজেপি

কলকাতা পুরসভার কোয়ার্টারে খুন তরুণ, তদন্তে পুলিশ

তীব্র গরমের কারণে পুলিশকর্মীদের রোটেশন পদ্ধতিতে ডিউটি বণ্টনের প্রস্তাব

বিশ্ব হাসি দিবসে প্রকাশিত হল প্রয়াত অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌতুক নকশা

সোমবার থেকে বঙ্গে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা উধাও, ধেয়ে আসছে ঝড় – বৃষ্টি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর