এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রাজ্যে রেশনে Biometric বাধ্যতামূলক, ঘোষণা খাদ্য দফতরের

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: চালু হয়েছিল আগেই। কিন্তু তা বাধ্যতামূলক ছিল না। কিন্তু এবার সেটাই করে দেওয়া হল। নজরে রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা(Ration Distribution System in West Bengal)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যের রেশন বন্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা রাখতে আগেই Digitalized Ration Card চালু করে দিয়েছে। সেই Card’র সঙ্গে আবার কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ মেনে Aadhar Card-কেও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু Digitalized Ration Card’র সঙ্গে Aadhar Card’র Biometric Link বা সংযোগসাধন এতদিন বাধ্যতামূলক ছিল না। কিন্তু এবার সেটাই করে দেওয়া হল। রাজ্যের খাদ্য দফতরের(Food Department) তরফে জানানো হয়েছে এবার থেকে রাজ্যে রেশনের খাদ্যশস্য সংগ্রহের জন্য Aadhar Card’র Biometric যাচাই বাধ্যতামূলক(Mandatory)। রেশন বণ্টন প্রক্রিয়ায় পূর্ণ স্বচ্ছতা আনতেই এই পদক্ষেপ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই সিদ্ধান্তটা এমন একটা সময়ে নেওয়া হল যখন রেশন বন্টন দুর্নীতির মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED বা Enforcement Directorate’র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যেরই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক(Jyotipriya Mallik)।

রাজ্যের খাদ্য দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, ত্রিস্তর পদ্ধতিতে Aadhar Card’র Biometric যাচাই করতে হবে প্রতিটি রেশন দোকানের ডিলারদের যারা সেই দোকান থেকে রেশনের খাদ্যশস্য সংগ্রহ করবেন তাঁদের ক্ষেত্রে। যেসব গ্রাহকের Aadhar নম্বর দেওয়া আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে Biometric যাচাই আবশ্যিক। রাজ্যে এখন রেশন গ্রাহকের সংখ্যা ৮ কোটি ৮৪ লক্ষ। এর মধ্যে Aadhar যুক্ত গ্রাহকের সংখ্যা ৮ কোটি ৬৩ লক্ষ। Aadhar যাচাই করার জন্য রাজ্যের সব রেশন দোকানে Eye Scanner পাঠানো হয়েছে। যন্ত্রটির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে খাদ্য দফতর। রাজ্যে এখন ৯৯ শতাংশের বেশি গ্রাহকের Aadhar যাচাই করেই খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। এর জন্য সম্প্রতি রাজ্যের খাদ্য দফতরের প্রশংসাও করেছে কেন্দ্র। খাদ্য দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলে দেওয়া হয়েছে গ্রাহককে রেশনের খাদ্য শস্য দেওয়ার সময় রেশন দোকানের ডিলার ওই গ্রাহকের প্রথমে আঙুলের ছাপ E-Pos যন্ত্রে নিয়ে Aadhar যাচাই করবেন। না-হলে ডিলার Eye Scanner ব্যবহার করবেন। এই স্ক্যানার মারফত গ্রাহকের চোখের মণি যাচা‌ই করা হয়। কোনও কারণে এটাও ফেল করলে আধারে যুক্ত মোবাইলে OTP মারফত খাদ্যসামগ্রী দিতে হবে।   

Aadhar Card’র Biometric যাচাই শুরু হওয়ার পর আঙুলের ছাপ দিয়ে এই প্রক্রিয়া করতে কিছু সমস্যা হতো। সমস্যাটি দূর করতে Eye Scanner দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সব রেশন দোকানের ডিলারদের। এতে খাদ্য দফতরের বাড়তি কোনও খরচ হয়নি। পুরো ব্যবস্থা পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে যুক্ত সংস্থাই যন্ত্রটি দিয়েছে। E-Pos যন্ত্রের মাধ্যমে রেশন বণ্টনে যে অতিরিক্ত কমিশন দেওয়া হয়, সেটা ওই সংস্থা পায়। যখন শুধু আঙুলের ছাপের মাধ্যমে Aadhar Card’র Biometric যাচাই করা হতো তখন সমস্যা হলে ডিলারদের কিছু ছাড় দিত খাদ্য দফতর। কোনও গ্রাহকের আধার যাচাই অসম্ভব হলে সেটা খাদ্য দফতরকে জানাতেন ডিলার। তখনও ৯০ শতাংশের বেশি লেনদেন আধার যাচাইয়ের মাধ্যমে করতে বলা হতো। এখন Eye Scanner চালুর পর আর কোনও ছাড় দিতে রাজি নয় সরকার।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিশ্ব হাসি দিবসে প্রকাশিত হল প্রয়াত অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌতুক নকশা

সোমবার থেকে বঙ্গে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা উধাও, ধেয়ে আসছে ঝড় – বৃষ্টি

শ্লীলতাহানির অভিযোগ: রাজভবনের কর্মীদের মুখ বন্ধের নির্দেশ রাজ্যপালের

সম্পত্তি হাতাতে ভাইকে পিটিয়ে খুন, নিউটাউনের বাড়ি থেকে উদ্ধার মৃতদেহ

‘সন্দেশখালি বিজেপি করেছে, সিপিএম আর কংগ্রেস ধুনো দিয়েছে’, দাবি কুণালের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর