নিজস্ব প্রতিনিধি: লড়াইটা ঠিক কাদের বিরুদ্ধে সেটাই এখন গুলিয়ে ফেলেছেন বঙ্গ বিজেপির নীচুতলার কর্মীরা। তাঁরা বুঝতে পারছেন না ঠিক কোন পক্ষে নিজের নাম লেখালে দলে তাঁরা নিরাপদ থাকবেন। তাঁরা এটাও বুঝতে পারছেন না আসন্ন পুরনির্বাচনে তাঁরা ঠিক কোন পক্ষের কথা শুনে কাজ করবেন। এহেন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারন বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহের জেরে দল এখন আড়াআড়ি ভাবে দুই শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছে। দুই শিবিরই এখন একে অপরকে জব্দ করতে উঠেপড়ে লেগেছে, যার আঁচ পড়ছে দলের নীচুতলাতেও। আর তার জেরেই বঙ্গ বিজেপির কর্মীদের মধ্যে এহেন অস্বস্তি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এরই মধ্যে সামনে এসেছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব বিদ্রোহীদের নামের তালিকা দিল্লিতে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছে যাতে এদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন সেই তালিকায় নাম নেই দিলীপ ঘোষের।
বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহের যে সুর ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে তা দ্রুত দমন করতে চাইছেন বঙ্গ বিজেপির সাধারন সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। তাঁর এহেন অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছেন অমিত মালব্যও। অনুমান করা হচ্ছে তাঁর সিদ্ধান্তের পিছনে সঙ্ঘের অনুমোদনও রয়েছে। তাই বেশ কড়া হাতেই বিদ্রোহ দমন করতে চাইছেন অমিতাভবাবু। অন্তত এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে বঙ্গ বিজেপির সূত্রে। আর তাই বাংলায় বঙ্গ বিজেপির বিদ্রোহী ও বিক্ষুব্ধদের তালিকা তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন শাহ-নাড্ডার কাছে। অমিতাভবাবুর বাড়তি শক্তি হয়ে উঠেছেন শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বিক্ষুব্ধদের সরাসরি কিছু না বললেও অমিতাভবাবুর সব সিদ্ধান্তকেই সমর্থন জানিয়েছেন। তাই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যদি বিক্ষুব্ধ ও বিদ্রোহীদের নিয়ে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেয় তাহলে দলের অন্দরের অনেক সমীকরণই রাতারাতি বদলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাচক্রে শোনা যাচ্ছিল এই বিদ্রোহের নেপথ্যে নাকি রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু এদিন সুকান্ত নিজেই জানিয়েছেন, দিলীপ নিরপেক্ষ ভাবেই কাজ করে চলেছেন। তিনি চান আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে। তাই দিল্লিতে বিক্ষুব্ধ ও বিদ্রোহীদের নামের যে তালিকা গিয়েছে সেখানে দিলীপ ঘোষের নাম নেই।