নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি মাসের প্রথম দিকেই পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিল পশ্চিমবঙ্গ বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে বেশ কয়েকটি মৌখিক দাবিদাওয়া করেছিল বাস মালিকদের সংগঠন। এরপর সেই মৌখিক দাবিগুলি লিখিত আকারে জমা করা হয়েছে রাজ্য় পরিবহণ দফতরে। ওই দাবিপত্রে বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করেছেন বাস মালিকরা। এরমধ্যে আছে ফিট সার্টিফিকেট, পারমিট রিনিউয়াল ও রোড ট্যাক্স জমা করার দিন বৃদ্ধি। এছাড়াও ইএমআই, বিমার কিস্তির মেয়াদ বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছে বাস মালিক সংগঠন। এছাড়া আর্থিক সমস্যা মেটানোর জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ধাঁচে কম সুদের ২ থেকে ৪ লক্ষ্য টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় বিষয় করোনার অজুহাত দেখিয়ে ১৫ বছরের পুরোনো বাস বাতিলের নির্দেশিকা আরও ২ বছর বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়েছে। অর্থাৎ, ১৫ বছরের পরিবর্তে ১৭ বছর করতে বলছে বাস মালিকদের সংগঠন।
এমনিতেই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পুরোনো লড়ঝড়ে বাস নিয়ে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে যাত্রী মহলে। ফের যদি বাসের মেয়াদ আরও ২ বছর বাড়ানো হয় তবে সমস্যা আরও বাড়বে। পুরোনো বাস থেকে যেমন দূষণ ছড়ায়, তেমনই দুর্ঘটনাও ঘটে। করোনা পরবর্তী সময়ে কম যাত্রী সংখ্যা ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির জেরে বাসের ভাড়া বাড়ানোর দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু বাস মালিকদের দাবি নাকচ করে দিয়ে রাজ্য সরকার বাস মালিকদের বেশ কিছু ছাড় ও অনুদান আগেই দিয়েছে রাজ্য। এরপর ফের যাত্রী সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দের জন্য আরও ১৩ দফা দাবি করেছে বাস মালিক সংগঠন। এরমধ্যে নির্বাচন বা রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য পুলিশের ভাড়া নেওয়া বাসের জন্য যে টাকা প্রাপ্য থাকে সেটাও বাড়ানোর দাবি রয়েছে।