এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

আমতলায় পুরসভা গঠন নিয়ে হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১০টি মৌজা। এই এলাকায় নেই এক ছটাকও কৃষিজমি। ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ অকৃষি কাজে যুক্ত৷ জনসংখ্যা ৬০ হাজারের আশেপাশে। রয়েছে ৩০টিরও বেশি ব্যাঙ্কের শাখা। আছে সিমেন্ট কারখানা। পুরোদস্তুর শহর। অথচ আজও সে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা হয়ে যাচ্ছে। মানুষ চাইছেন নাগরিক পরিষেবা। অথচ সেটা দেওয়ার মতো পরকাঠামো নেই গ্রাম পঞ্চায়েতের। বাম জমানার শেষের দিকে জানানো হয়েছিল ওই এলাকাকে পুরসভায়(Municipality) উন্নিত করা হবে। কিন্তু ঘোষণাই সার। পরের সরকার আরও দুই ধাপ এগিয়ে সেই পুরসভা গঠনের জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভায়(State Cabinet) প্রস্তাব এনে তা অনুমোদন করে, বিধানসভায় বিল পাশ করে তাতে রাজ্যপালের(Governor) স্বাক্ষরও নিয়ে আসে। কিন্তু এখনও তা গ্রাম পঞ্চায়েত হয়েই রয়েছে। আর তার জেরেই এবার প্রশ্নের মুখে পড়তে রাজ্য সরকারকে। আর সেটাও কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court)। নজরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার আমতলা(Aamtala)।

আরও পড়ুন বুধবার বাংলার নয়া রাজ্যপালের শপথ

বাম জমানার শেষ দিকে ২০০৭ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার আলিপুর সদর মহকুমার বিষ্ণুপুর-২ ব্লকের আমতলা এলাকাকে পুরসভা হিসাবে গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করা হয়। তখনই ঠিক হয়েছিল আমতলা সহ আশেপাশের ১০টি মৌজা নিয়ে এই পুরসভা গঠন করা হবে। ওই মৌজাগুলি হল – উদয়রামপুর, কৃপারামপুর, রামকৃষ্ণপুর, জয়রামপুর, মামুদপুর, কন্যানগর, বিষ্ণুপুর, সাফখালি এবং চকবাগী। এরপর ২০১০ সালে তৎকালীন বাম আমলে রাজ্য মন্ত্রিসভায় আমতলাকে পুরসভায় উন্নিত করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। ২০১১ সালে পরিবর্তনের জেরে সেই প্রস্তাব কিছুটা হলেও ঠাণ্ডা ঘরে চলে যায়। কিন্তু ২০১৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ঘোষণা করেছিল বাংলায় ২২টি নতুন পুরসভা তৈরি করা হবে। তার মধ্যে ছিল আমতলাও। বাকি ২১টি হল তেহট্ট, চাঁচল, ক্যানিং, ফালাকাটা, কাকদ্বীপ, বেলদা, খাতরা, কোলাঘাট-মেচেদা, গাজোল, বুনিয়াদপুর, বালি পশ্চিম, আন্দুল, ডোমজুড়, বাগনান, বক্সিরহাট, ঠাকুরনগর, আমতা, আমতলা, ডোমকল, তারাপীঠ, মল্লারপুর ও ময়নাগুড়ি। এদের মধ্যে বুনিয়াদপুর, পজালাকাটা, ময়নাগুড়ি ও ডোমকল পুরসভা হিসাবে গড়ে উঠেছে। বাকিগুলি নিয়ে আর কোনও সিদ্ধান্তই হয়নি।

আরও পড়ুন রাজ্যের সব আর্থসামাজিক প্রকল্পেই বাধ্যতামূলক আধার সংযোগ

যদিও ২০১৬ সালে আমতলা পুরসভা গঠন নিয়ে উদ্যোগী হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তার জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভা নতুন করে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় এবং তা অনুমোদনও পায়। শুধু তাই নয়, রাজ্য বিধানসভায় সেই সম্পর্কে বিলও পাশ করা হয়। সেই বিলে সন্মতিও দেন রাজ্যপাল। তারপরেও আমতলা আজও পুরসভায় উন্নিত হয়নি। আর তার জেরেই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। সেই মামলাতেই কলকাতা হাইকোর্ট এবার রাজ্য সরকারকে চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেই হলফনামায় জানাতে হবে রাজ্য মন্ত্রিসভায় অনুমোদন ও রাজ্যপালের সন্মতি পাওয়ার পরেও কেন সেখানে পুরসভা গঠন করা হয়নি। একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে ১৪ নভেম্বর এই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে নবান্নের(Nabanna) আধিকারিকদের দাবি, অর্থের সঙ্কটই এই পুরসভা গড়ে না ওঠার প্রধান ও একমাত্র কারণ। কেননা একটি নতুন পুরসভা গঠনের সময়ে রাজ্য সরকারকে সেই পুরএলাকার জন্য কম-বেশি ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে হয়। এই কারণেই আমতলায় পুরসভা গঠন নিয়ে ধীর পায়ে চলছে রাজ্য সরকার। তবে এই নয় যে, প্রস্তাবটি ঠাণ্ডা ঘরে চলে গিয়েছে বা বাতিলের খাতায় চলে গিয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মানিকতলায় বহুতলে রবিবার রাতে ভয়ংকর আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন

ফুসফুসের মধ্যে নাকছাবির অংশ, বের করতে সফল চিকিৎসক

ভাঙড়ে রবিবার দুপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংস আগুন, এলাকায় আতঙ্ক

আগামী ৫ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর

ভোটের কাজে এবার নেওয়া হচ্ছে স্কুলবাসও

প্রতিপক্ষের নাম ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বিরোধীরা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর