নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘কেন হাওড়া পুরনিগমকে বাদ রেখে ভোট হচ্ছে?’, এই প্রশ্ন তুলেই এবার কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। এই মামলা দায়ের করেছেন রাজ্যের পুরভোট সংক্রান্ত মামলাকারী তথা পেশায় আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। গতকাল নির্বাচন কমিশন চারটি পুরনিগমের ভোট ঘোষণা করেছে। কিন্তু সেখানে নাম নেই হাওড়ার। তার জেরেই সোমবার রাতেই সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জরুরি ভিত্তিতে একটি ইমেল করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবকে। তাতে সব্যসাচীবাবু সোমবার রাতেই এই বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি চেয়েছিলেন। যদিও প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে রাতেই সব্যসাচীকে জানিয়ে দেওয়া হয় রাতে জরুরিভিত্তিতে শুনানি সম্ভব নয়। তাঁকে সুনির্দিষ্টভাবে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করতে বলা হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, মামলা দায়েরের পরই হাইকোর্ট বিষয়টি শুনবে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি কবে হবে? আদৌ সেই মামলা গৃহীত হবে কিনা, তাও জানিয়ে দেওয়া হবে। এদিন সকালে সেই মামলা দায়ের হয়েছে।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টে যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে সেখানে প্রশ্ন হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে, ‘কেন হাওড়া পুরনিগমকে বাদ রেখে ভোট হচ্ছে? বালি পুরসভাকে আলাদা করার বিলে সই নিয়ে কেন বিভ্রান্তি? রাজ্যের পুরভোটের মামলায় আদালতে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ৫টি পুরনিগমের নির্বাচন হবে ২২ জানুয়ারি। সেখানে আদালতকে জানানোর পরও কেন কমিশন ৪টি পুরনিগমের নির্বাচন ঘোষণা করল? কেন সেই তালিকায় নেই হাওড়া পুরনিগমের নাম? এটা শুধু আদালতকে মিথ্যা তথ্যই জানানো নয়, কার্যত আদালতকে প্রত্যক্ষভাবে অপমান করা হয়েছে। একই সঙ্গে তা স্ববিরোধীতাও। কেন কমিশন চারটি পুরনিগমের নির্বাচন ঘোষণা করল? কেন সেই তালিকায় নেই হাওড়া পুরনিগমের নাম?’ যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘বিরোধীরা রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে! আসলে নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। বিধানসভা ভোটে তো কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী, তাতে কী লাভ হল ওদের! বিজেপি ধূলিসাৎ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দোষ দিয়ে কী লাভ? রাজ্যপাল বিলে সই না করলে ভোট হবে কীভাবে!’