নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে অর্থ পাঠানো বন্ধ হয়েছে বলেই দাবি করে কেন্দ্র। এবার হাইকোর্টে ১০০ দিনের প্রকল্পে বকেয়া অর্থ নিয়ে প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র। ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে তার স্বপক্ষে প্রমাণ কোথায়? প্রশ্ন তুললেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। দুর্নীতি হয়ে থাকলে তদন্তে এ নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা তা জানতে চায় আদালত। আজ মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
এই প্রকল্পে কেন্দ্রের টাকা বকেয়া নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে ক্ষেত মজদুর সংগঠন। ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানানো হয়। পাল্টা কেন্দ্রের দাবি, প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে বলে টাকা দেওয়া হচ্ছেনা। ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষে রাজ্য খরচের কোনও নথি দেয়নি জানায় কেন্দ্র।
এরপরেই ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, “রাজ্য যে কেন্দ্রের টাকা নয়ছয় করেছে, তারা যে রাস্তা তৈরি করেনি, ব্রিজ তৈরি করেনি, টাকা নিয়ে দুর্নীতি করেছে, তার স্বপক্ষে কেন্দ্রের কাছে কোনও প্রমাণ আছে কি?” রাজ্য এই প্রকল্পের কার্যকারিতার একটা রিপোর্ট দিয়েছে। সেটা খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে কিনা তাও জানতে চায় আদালত।
কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী জানান, “রাজ্যজুড়ে প্রচুর ভুয়ো জব কার্ড পাওয়া যাওয়ার পর কেন্দ্র ফান্ড বন্ধ করেছে।একটা ট্রেড ইউনিয়ন (খেতমজুর) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে এইভাবে ফান্ড রিলিজ করার দাবি জানাতে পারে কি ? রাজ্য আগে খতিয়ে দেখুক যাদের জব কার্ড দেওয়া হয়েছে সেগুলো ভুয়ো কিনা।”
ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, “ভুয়োগুলোর কথা যদি বাদও দেওয়া হয়, তাহলে ১ হাজার জেনুইন জব কার্ড হোল্ডার আসল হলে তাহলে তাদের টাকা বন্ধ থাকবে কেন?”