নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিমবঙ্গে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে আরও ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে এই বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব , স্বরাষ্ট্র সচিব ও ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশকে । ১৫ এপ্রিল বা তার আগে রাজ্যে আসবে এই অতিরিক্ত ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে ৫৫ কোম্পানি সিআরপিএফ এর মধ্যে মণিপুর(Manipur) থেকে ২৫ কোম্পানি সিআরপিএফ(CRPF) এবং ৪৫ কোম্পানি বিএসএফ এর মধ্যে মণিপুর থেকে ২৫ কোম্পানি বিএসএফ(BSF) আসবে এ রাজ্যে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে যাচ্ছেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিল কুমার শর্মা। দ্বিতীয় পর্যায় হোম ভোটিংয়ের দার্জিলিং থেকে ৪,৪১৬টি রায়গঞ্জ থেকে ৩৯৯৩ টি এবং বালুরঘাট থেকে ২২৩৯টি আবেদন জমা হয়েছে কমিশনে। সি ভিজিল অ্যাপসের মাধ্যমে ৫২৩৬ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যে নাকা চেকিং- র(Naka Checking) মোট সংখ্যা ৬৪১ টি। ফ্লাইং স্কোয়াড ১০০১ টি। ২৩৭ টি স্টাটিকস সার্ভিলেন্স টিম বেরিয়েছে। নগদ ১০ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ১৯৯ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা মোট টাকা সহ সামগ্রী উদ্ধার। তাপপ্রবাহর জন্য ভোট কেন্দ্র শেডের ব্যাবস্থা থাকবে। পাখার ব্যাবস্থা, পানীয় জলের ব্যাবস্থা রাখতে হবে।
চিকিৎসার জন্য যে ক্যাম্প (Camp)হবে তা কোথায় হবে সেই বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগ দেখবে। ৪৮ ঘণ্টা সাইলেন্স পিরিয়ড মানতে হবে সব রাজনৈতিক দলকে। এমনকি তখন কোনো রকমের প্যানেল বা ডিসকাশন বা বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবে না মিডিয়া বা সংবাদমাধ্যম। শাড়ি, জামা, কাপড় বিতরণ করতে পারবে না রাজনীতিক দল । কিন্তু টুপি দিতে পারবেন। তবে বিয়ে অনুষ্ঠান বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে গিফট দিতে পারবে কিন্তু তার নিয়ম মনে করতে হবে। যারা পোলিং পার্সোনাল আছে তাদের কে ১২ এ ফরম সই করছে। বাইক মিছিল নিষিদ্ধ। সেই জন্য যা নিয়ম আছে সেটাই হবে। স্পর্শকাতর বুথ মাঝে মাঝে পরিবর্তন হয়ে থাকে বলে জানান অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী।