নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মাস কেটেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার। এরপরেই কার্যত ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানোর দাবি ওঠে। দীর্ঘ টালবাহানার পর শেষমেশ শুরু হল সিসিটিভি বসানোর প্রক্রিয়া। ক্যাম্পাসের নির্দিষ্ট স্থানগুলিতে বসানো হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
জানা গিয়েছে, মোট ২৯ টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। এই সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি যথেষ্ট উন্নতমানের। বিশেষক্ষমতা সম্পন্ন এএনপিআর ক্যামেরা, বুলেট ক্যামেরা, ৩৬০ ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। এই এএনপিআর ক্যামেরা মূলত ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ির নম্বর চিহ্নিতকরণের জন্য ব্যবহার হয়। বুলেট ক্যামেরার মাধ্যমে খুব সহজেই ফেস রেকগনাইজেশন করা যায়। ফলে সহজেই কারা প্রবেশ করছে বা বাইরে যাচ্ছে বোঝা যাবে। পাশাপাশি সার্ভার রুমেই বসানো হচ্ছে কমপক্ষে ৩ টি ক্যামেরা। ইউজিসি’র গাইডলাইন অনুযায়ী প্রবেশ দরজাগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা আগেই জানানো হয়েছে। শেষঅবধি সেই প্রক্রিয়া শুরু।
তবে এর মধ্যেই বিস্ফোরক অভিযোগ উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ-এর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি বসাতে দিতে চাইছেন না কয়েকজন ছাত্র নেতা৷ এরা চাইছেন না সিসিটিভি বসুক ক্যাম্পাসে৷ এমনটাই জানিয়েছেন বর্তমান উপাচার্য। এমনকি তিনি উপাচার্য পদে থাকুক এমনটা চায়না অনেকেই। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে বলে দাবি উপাচার্যের।