নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশে ২৪’র ভোটের লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে বিজেপি(BJP) বিরোধী মহাজোট INDIA। তাতে রয়েছে বাংলার(Bengal) শাসক দল তৃণমূল(TMC) এবং দেশের বিরোধী দল কংগ্রেস(INC)। প্রাথমিক ভাবে এই দুই দলের মধ্যে জোটের সম্ভাবনা রয়েছে বাংলার মাটিতে। কিন্তু দুই দলের এই জোটকে মেনে নিতে পারছেন না প্রদেশ কংগ্রেসের সিংহভাগ নেতানেত্রীরা। তাঁরা রাহুল গান্ধির(Rahul Gandhi) সঙ্গে দেখা করে জোটের বিরুদ্ধে বার্তা না দিলেও দাবি করেছেন, তৃণমূলের কাছ থেকে যেন ৭টি লোকসভা আসন দাবি করা হয় ২৪’র ভোটে লড়াই করার জন্য। মজার কথা যে রাজ্যে কংগ্রেসের ১জন বিধায়কও শেষ বিধানসভা নির্বাচনে জিততে পারেনি, যে কংগ্রেসের ১জন বিধায়কও নেই রাজ্য বিধানসভায়, তাঁরা ৭টি লোকসভা কেন্দ্র চাইছে লড়াই করার জন্য। স্বাভাবিক ভাবেই এই দাবি শুনে হেসেছেন খোদ রাহুলও। লক্ষ্যণীয় ভাবে এই ৭টি আসন চাওয়ার দাবি যিনি জানিয়েছিলেন সেই দীপা দাসমুন্সিকেই(Deepa Dasmunshi) বাংলা থেকে যোজন দূরে দলের দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়ে দিল কংগ্রেস।
হিমাচলপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনের জয়ের কংগ্রেসের অন্দরে বড় ভূমিকা ছিল দীপা দাশমুন্সির। এবার দীপাকে সেই তেলেঙ্গানার দায়িত্বে পাঠিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। সঙ্গে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেরল ও লাক্ষ্মাদ্বীপের। মজা হচ্ছে, দীপা বাংলার যে ৭টি আসনের দাবি রাহুলের কাছে রেখেছিলেন তার মধ্যে ছিল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ আসনটিও। সেখানে দীপা নিজে প্রার্থী হতে পারতেন। কিন্তু এখন সে গুড়ে বালি। দীপা আপাতত দক্ষিণে দিচ্ছেন পাড়ি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, দীপাকে বাংলা থেকে দূরে পাঠিয়ে কার্যত কংগ্রেস হাইকম্যান্ড প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকেই বার্তা দিল। তাঁরা যেন অবাস্তব দাবদাওয়া তুলে বাংলার মাটিতে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের বিরোধিতা না করেন। দীপা ২০১৬’র বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের অন্যতম মুখ ও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে উঠেছিলেন। তিনি এখনও তীব্র মমতা(Mamata Banerjee) বিরোধিতার রাস্তাতেই হাঁটেন। এবার তাঁকেই বাংলা থেকে দূরে সরিয়ে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড পরোক্ষে তৃণমূলকেও জোটের পক্ষেই বার্তা দিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।