এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ডাকাতির ঘটনায় ২ কনস্টেবলের ৯ বছরের জেল, লকআপে ইন্সপেক্টরও

নিজস্ব প্রতিনিধি: চাঞ্চল্যকর দুটি ঘটনা। আর সেই দুই ঘটনা ঘিরেই প্রশ্নের মুখে আইনের রক্ষকেরা। কেননা আইনের রক্ষকদেরই এখন ডাকাতির ঘটনায় যেমন জেলে যেতে হচ্ছে তেমনি আইনজীবীকে হেনস্থার ঘটনায় ইন্সপেক্টরকে ঢুকতে হচ্ছে লকআপের ভিতরে। যাদের কাজ ভক্ষকদের হাত থেকে আমজনতাকে বাঁচানো, তাঁরাই কিনা নিজেরা ভক্ষক হয়ে পড়ছেন। যে দুটি ঘটনার জেরে এমন প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গিয়েছে পুলিশকে(Police) ঘিরে সেই দুটি ঘটনার একটি হল, CID অফিসার পরিচয় দিয়ে বড়বাজারে এক ব্যবসায়ীর গদি থেকে ৪০ লক্ষ টাকা ডাকাতির ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত দুই পুলিশ কনস্টেবলের(Constable) ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অপর ঘটনাটি হল এক আইনজীবীকে অপমান ও হেনস্তার অভিযোগে ঘোলা থানার Sub Inspector বা SI-কে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক(Judge)।   

আরও পড়ুন Aadhaar Card Update নিয়ে কড়া সতর্কবার্তা UIDAI’র

প্রথম ঘটনাটির ক্ষেত্রে আসা যাক। ২০১৩ সালের ২৯ জুন দুপুরে বড়বাজার থানার আর্মেনিয়ান স্ট্রিটে এক ব্যবসায়ীর গদি থেকে ৪০ লক্ষ টাকা ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতির পর অভিযুক্তরা ওই ব্যবসায়ীর এক কর্মচারীকে অপহরণ করে তাঁকে গাড়িতে তুলে ক্যামাক স্ট্রিটে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে ঘটনার তদন্তে নামে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ। তখনই জানা যায়, অভিযুক্ত ডাকাতদলের মধ্যে রয়েছে দুইজন পুলিশ কনস্টেবেল। এরা হল কলকাতা পুলিশের হাফিজুর রহমান ও রাজ্য পুলিশের ওয়াজেদ মোমিন। এরপরই ওই দুই পুলিশ কনস্টেবল সহ ওই ডাকাতির ঘটনায় মোট ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় ডাকাতির কিছু টাকাও। ঘটনার তদন্ত শেষ করে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার সুব্রতকুমার ঝাঁ ব্যাঙ্কশাল আদালতে চার্জশিট পেশ করে। মামলার বিচার প্রক্রিয়ার শেষে গত বৃহস্পতিবার আদালত দুই অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। শনিবার কলকাতা নগর দায়রা আদালত ওই ২জনকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেন। অনাদায়ে এক বছর অতিরিক্ত হাজতবাসের নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন আইন মেনে গ্রামে বাড়ি, Panchayat Building Rules আনছে রাজ্য

অন্যদিকে ব্যারাকপুর আদালতের এক আইনজীবীকে অপমান ও হেনস্তার অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ঘোলা থানার Sub Inspector বা SI সন্দীপন গুহকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন ব্যারাকপুর আদালতের বিচারক। ফলে ওই পুলিস আধিকারিককে বেশ কয়েক ঘণ্টা কোর্ট লকআপে কাটাতে হয়। সন্ধ্যায় তিনি ক্ষমা চাইলে আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ ভৌমিক তাঁর অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। তখন তাঁর বিচারবিভাগীয় হেফাজতও প্রত্যাহার করা হয়। এই মামলার আইনজীবী প্রশান্ত সাহা জানান, গত ১০ আগস্ট রাতে বারাকপুর আদালতের আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ ভৌমিক ঘোলা থানায় গিয়েছিলেন একটি মামলার ব্যাপারে কথা বলতে। অভিযোগ, তখন তাঁর মোবাইল কেড়ে নেন থানার SI সন্দীপন গুহ। পাশাপাশি তাঁকে অপমান এবং হেনস্তা করা হয়। ইন্দ্রজিৎবাবু বিষয়টি বার অ্যাসোসিয়েশনকে জানান এবং ব্যারাকপুর আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তি হওয়া মামলার শুনানি ছিল শনিবার। আদালতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে। তারপরেই নেমে আসে শাস্তির খাঁড়া।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভাঙড়ে রবিবার দুপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংস আগুন, এলাকায় আতঙ্ক

আগামী ৫ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর

ভোটের কাজে এবার নেওয়া হচ্ছে স্কুলবাসও

প্রতিপক্ষের নাম ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বিরোধীরা

তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন, বাগুইহাটিতে ছড়িয়েছে উত্তেজনা

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার সুপ্রিম শুনানি সোমবার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর