নিজস্ব প্রতিনিধি: অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধার হল বাবুঘাটে। নিরঞ্জন করা প্রতিমার কাঠামোর সঙ্গে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির পচাগলা দেহ আটকে থাকতে দেখেন সাফাই কর্মীরা। বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বাবুঘাট চত্বরে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৪৫ বছর। বৃহস্পতিবার বাবুঘাটে নিরঞ্জন হওয়া প্রতিমার কাঠামো সরানোর সময় ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি নজরে পড়তে সাফাইকর্মীরা পুলিশকে খবর দেন। এরপর তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর পাশাপাশি মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে কীভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে বুধবার বিজয়া দশমীর দিন প্রতিমা নিরঞ্জন চলাকালীন বাবুঘাটে সাময়িক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। ওই দিন প্রতিমা নিরঞ্জন করতে আসা কয়েকজন ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে কলকাতা পুরসভার পে লোডার। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই ঘটনা বলে জানা যায়। অন্যদিকে পে লোডারের চালককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে পুজো উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় বুধবার বাবুঘাটে। বিজয়া দশমীর দিন প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য একাধিক পুজো কমিটি প্রতিমা নিয়ে বাবুঘাটে পৌঁছয়। সেই সময় আচমকা একটি পে লোডার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গঙ্গার পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজনকে ধাক্কা মারে। ঘটনার পর উত্তেজিত হয়ে পড়েন পুজো উদ্যোক্তারা। তাঁরা ওই পে লোডারের চাক্লককে টেনে ধরে নামানোর চেষ্টা করে তারা। চালককে মারধর করে বলে অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন পুর কর্মীরাও। পুলিশের সামনেই মারধর করা হয় বলে পুর কর্মীদের অভিযোগ। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। একাদশীর দিনেও বাবুঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হচ্ছে। বুধবার সেই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার নিরাপত্তার বিষয়ে অতি সতর্ক পুলিশ।