কৌশিক দে সরকার: বাম জমানায় যে সারা দেশে পিছিয়ে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) জমানায় সেটাই এখন দেশজুড়ে সব থেকে বেশি কদর পাচ্ছে। দেশের অনান্য শহরের তুলনায় হু হু করে বেড়ে চলেছে ফ্ল্যাটের চাহিদা ও দাম। চলতি অর্থবর্ষে দেখা যাচ্ছে দাম ও চাহিদা বৃদ্ধির নিরিখে দেশে(India) সব থেকে বেশি এগিয়ে আছে কলকাতা(KolkatA)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শহরের থেকে সামান্য পিছিয়ে দেশের জাতীয় রাজধানী এলাকা নয়া দিল্লি। তবে যোজন পিছিয়ে দেশের অর্থনীতির রাজধানী মুম্বই। সম্প্রতি দেশজুড়ে রিয়েল এসেস্টের বিক্রি ও চাহিদা নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেখানে ধরা পড়েছে কলকাতায় এখন হু হু করে বাড়ছে রিয়েল এস্টেটের দাম ও চাহিদা(Real Estate Demand and Price)। কলকাতায় এই দুটি ক্ষেত্রেই বৃদ্ধির হার ১৫ শতাংশ। তারপরেই রয়েছে নয়া দিল্লি ১৪ শতাংশ দাম ও চাহিদা বৃদ্ধি নিয়ে। হয়দরাবাদের ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধির হার ১৩ শতাংশ, পুণায় ১১ শতাংশ ও বেঙ্গালুরুতে ১০ শতাংশ। মুম্বইয়ে এই বৃদ্ধির হার মাত্র ৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন শাড়ি পরে পা মেলালেন ছন্দে, বাজালেন ধামসা মাদল
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মমতার শহরে রিয়েল এস্টেটের চাহিদা ও দাম হু হু করে বাড়ছে কেন? ওয়াকিবহাল মহল এই বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বেশ কিছু কারণকে চিহ্নিত করেছেন। প্রথমত, কেন্দ্রের তথ্যই বলছে দেশের মধ্যে সব থেকে নিরাপদ শহরের নাম কলকাতা। মহিলাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও এই শহর দেশের মধ্যে একনম্বরে। এখন যারা এই শহরে এসে ফ্ল্যাট কিনছেন তাঁদের একটা বড় অংশই আসছেন উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও রাজস্থান থেকে। এদের বেশির ভাগই ব্যবসায়ী। তাঁদের বিনিয়োগ আসছে এই রাজ্যের বুকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে। ওই সব রাজ্য থেকে যারা কলকাতায় আসছেন তাঁদের দাবি, কলকাতা অনেক বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। শহরে যোগাযোগ মাধ্যমও খুব ভাল। তার পাশাপাশি বাম জমানায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে লাল ফিতের ফাঁস বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেটাই মমতার জমানায় সরে গিয়েছে। সব থেকে বড় কথা এই শহরে যখন তখন দাঙ্গা লাগে না বা সংখ্যালঘু ও দলিতদের ওপর সেভাবে কোনও অত্যাচার হয় না যা মধ্য, উত্তর ও পশ্চিম ভারতে হামেশাই দেখা যায়। তাই সব মিলিয়ে তাঁরা এখন কলকাতামুখী হয়েছেন।
