নিজস্ব প্রতিনিধি: সোমবার পৌষ সংক্রান্তির সকাল থেকে কলকাতা সহ হাওড়া শহর ঘন কুয়াশা চাদরে ঢেকে গেছে। গোটা জেলাতে এর ফলে রেল ও সড়কপথে যান চলাচলের স্বাভাবিকভাবে গতি থমকে গেছে। যার ফলে ধীর গতিতে চলছে রেল ও যান চলাচল। সকাল ন’ টা বেজে গেলও রাজ্যের মুখ্য প্রশাসনিক ভবন নবান্নকে পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে না। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে কুয়াশার দরুন খুব সাবধানে বিমান ওঠা নামানো করা হচ্ছে রানওয়ে থেকে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়ে দিয়েছিল ভোরের দিকে কুয়াশার দাপট বাড়বে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। মঙ্গল ও বুধবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাত হবে। তবে কুয়াশার দাপট এবং শীতের কামড়কে উপেক্ষা করে সোমবার ও সংক্রান্তিতে গঙ্গার ঘাট গুলিতে ভোর থেকে ছিল নজর কাড়া ভিড়। বাবুঘাটে পুণ্যার্থীরা ঘন কুয়াশার মধ্যেই শীত উপেক্ষা করে গঙ্গাস্নান সারেন। গঙ্গাস্নানের পর অনেকেই সেখানে উপস্থিত সাধু সন্ন্যাসীদের পূজা অর্চনা করেন। গঙ্গাসাগরের পাশাপাশি কলকাতার বাবুঘাটেও মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাস্নান পর্ব চলে কাক ভোর থেকে। এদিকে শুধু কলকাতা শহর বা হাওড়া নয় জেলায় জেলায় ও ভোররাত থেকে কুয়াশার দাপট বেড়েছে।
জাতীয় সড়ক গুলিতে যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে। দৃশ্যমানতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরের রানওয়েতে দৃশ্যমানতা আড়াইশো মিটারের নিচে নেমে গিয়েছে। তাই কলকাতা থেকে যে বিমানগুলি সকালের দিকে ওড়ার কথা ছিল তার মধ্যে অনেকগুলি কলকাতা বিমানবন্দরের রানওয়েতে আটকে রয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি দিল্লিতেও গোটা রাজধানী শহর কুয়াশার চাদরে মুড়ে গিয়েছে। দৃশ্যমানতা শূন্যতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। দিল্লির তাপমাত্রা তিন ডিগ্রির ঘরে পৌঁছেছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে সকাল ১১ টার পর থেকে ধীরে ধীরে এই কুয়াশা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।