নিজস্ব প্রতিনিধি: নিস্তার পাচ্ছে না কলকাতা। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই শহরে ফের মিলল করোনার নয়া প্রজাতির হদিশ। ওমিক্রনে আক্রান্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক জুনিয়র ডাক্তার। যদিও ওই ডাক্তারের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। করোনা উপসর্গ ছিল ওই জুনিয়র ডাক্তারের। আরটিপিসিআর টেস্ট করাতে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপরেই কল্যাণীতে জিনোম টেস্টের জন্য পাঠানো হয় নমুনা। যাতে দেখা যায় ওই জুনিয়র ডাক্তার ওমিক্রনে আক্রান্ত। তারপরেই বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি করা হয় মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারটিকে।
সূত্রের খবর, আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। বেলেঘাটা আইডিতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ওই ওমিক্রন আক্রান্ত জুনিয়র ডাক্তারটিকে। কিন্তু কীভাবে ওমিক্রন আক্রান্ত হলেন জুনিয়র ডাক্তার? প্রথমত, ওই চিকিৎসকের ট্রাভেল হিস্ট্রি নেই, বেশি কারোর সঙ্গে মেলামেশা করেছে সেই তথ্যও পাওয়া যায়নি। চিকিৎসকেরা মনে করছে, মেডিক্যাল কলেজ থেকেই রোগী দেখার মাধ্যমেই ওমিক্রন আতঙ্ক হতে পারে জুনিয়র ডাক্তারটি। কিংবা মেডিক্যাল কলেজে এমন কোনও ব্যক্তির সংস্পর্ষে ওই চিকিৎসক এসেছেন যিনি ওমিক্রনের ভাইরাস বহন করছিলেন। সেক্ষেত্রে বাড়তি চিন্তা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। রাজ্যে তাহলে ওমিক্রনের প্রবেশ ঘটেছে এটা ধরা যেতেই পারে। ইতিমধ্যেই ওই জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে থাকা হস্টেলের আবাসিকদের নিভৃতে থাকতে বলা হয়েছে। বাইরে না যেতেই নির্দেশ দিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এর সঙ্গে ওই আবাসিকদের আরটিপিসিআর টেস্ট করা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে। ওমিক্রন আক্রান্ত জুনিয়র চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।