নিজস্ব প্রতিনিধি: আর মাত্র হাতেগোনা কয়েকটা দিন। তারপরেই শুরু হয়ে যাবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। দুর্গাপুজো নিয়ে এমনিতেই সাজ সাজ রব বঙ্গে। ঢাকে পড়েছে কাঠি। করোনা বিধিনিষেধের মাঝেই চলতি বছরেও আয়োজিত হবে দুর্গাপুজো। আর পুজোর আমেজ শুরু করতে উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। চলতি বছরে মহালয়ার দিন থেকেই সমস্ত পুজোর উদ্বোধন শুরু করে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই বিগত কিছু-বছর তৃতীয়া থেকে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের দামামা বাজে। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে চলতি বছরেও।
আগামী বুধবার মহালয়ার দিন উদ্বোধন করবেন পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলা অগ্রনীর পুজোর। সেখানেই দেবী দুর্গার চক্ষুদান করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই একে একে ওইদিনই সেলিমপুর, বাবুবাগান, ৯৫ পল্লি, যোধপুর পার্কের পুজোরও উদ্বোধন করবেন তিনি। এই মুহূর্তে প্রতিনিয়ত পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখছে কলকাতা পুলিসের সঙ্গে ছিলেন সিইএসসি, পিডব্লুডি এবং দমকলের আধিকারিকরাও। পুজো শুরুর আগে মণ্ডপগুলোর ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখছেন কলকাতা পুলিসের আধিকারিকরা। যথাযথ বিধি-নিষেধ মেনে পুজোর ব্যবস্থা হচ্ছে কি না, তা ঘুরে দেখেন তাঁরা।
রাজ্যের দেওয়া হলফনামার ভিত্তিতে এবারেও দুর্গাপুজোতে কড়া বিধিনিষেধ থাকছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে, গতবারের করোনাবিধি মেনেই এবারও মণ্ডলগুলোতে দুর্গাপুজো হবে। বজায় থাকবে ‘নো এন্ট্রি’ নিয়ম। আগে থেকে জানাতে হবে পুজোর সঙ্গে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদের নামও। রাজ্যের তরফে আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, পুজো কর্তৃপক্ষকে তালিকা দিয়ে জানিয়ে দিতে হবে তাঁদের কোন কোন স্বেচ্ছাসেবক পুজোর সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। বড় পুজোর ক্ষেত্রে ২৫ জন এবং ছোট পুজোর ক্ষেত্রে ১২ জন স্বেচ্ছাসেবকের তালিকা তৈরি করতে হবে।