নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস (Adenovirus)। ফের এক কিশোরীর মৃত্যু হল এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হল খড়গপুরের বাসিন্দা ওই কিশোরীর। সঙ্গীতে দক্ষতার জন্য ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিল মৃত ছাত্রী।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরীর নাম উর্জস্বতি রায়চৌধুরী (১৩)। খড়গপুরের বাসিন্দা সে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল সে। নিউমোনিয়া আক্রান্ত কিশোরীকে প্রথমে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছিল। পরে পরীক্ষায় জানা যায় ওই ছাত্রী অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। চিকিৎসা চলাকালীন বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য, জন্মাবধি সে স্পাইনাল মাস্কুলার অ্যাট্রফির শিকার ছিল। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্তের মৃত্যুর সংখ্যা ১০ ছাড়াল। তবে অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কিত হতে নিষেধ করছে স্বাস্থ্যভবন। সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উর্জস্বতির বাবা উজ্জ্বল রায় চৌধুরী বলেন, ‘মেয়ে সঙ্গীতে দক্ষ ছিল। সেই দক্ষতার জন্যই ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল ওই কিশোরীর। তার মাসকুলার অ্যাট্রফি থাকায় শরীর লড়তে পারছিল না।’ শেষ পর্যন্ত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে লড়াই থামে উর্জস্বতির।
উল্লেখ্য গত শনিবার অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বৈঠকে বসেছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। স্বাস্থ্যভবনে সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপালরা। ছিলেন জেলা থেকে সিএমওএইচরাও। যারা শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে পারেননি তাঁরা ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে অংশ নেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর বিচ্ছিন্ন থাকার পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। একইসঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে হবে। করোনার ক্ষেত্রে যে সমস্ত প্রাথমিক সতর্কতা মেনে চলা হতো, এক্ষেত্রেও সেই ব্যবস্থা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।