নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: সামাজিক মাধ্যমে আলাপ। আর আলাপ থেকেই প্রেম। সেই প্রেমের টানেই এক ব্যাক্তির সাথে সুদূর কলকাতা থেকে বিয়ের উদ্দেশ্যে মালদায় পালিয়ে আসলো এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তবে শেষ রক্ষা হল না। মালদা থানার পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হল নিখোঁজ পরীক্ষার্থী। কলকাতার টালিগঞ্জের বাসিন্দা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তিন বছর আগে সামাজিক মাধ্যমে মালদা থানার মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের বলাতুলি শনিবার হাট এলাকায় ৩৩বছর বয়সী এক ব্যাক্তি বিশ্বজিৎ বর্মনের সাথে পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক হয়।মাধ্যমিক পরীক্ষা(Madhyamik Exam.) শেষ হতেই বিশ্বজিতের হাত ধরে মালদায় পালিয়ে আসে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পরিবার মেয়ের খোঁজ না পেয়ে কলকাতা পুলিশের দারস্থ হন। শুরু হয় তদন্ত।কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিক নিখোঁজ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সামাজিক মাধ্যম খতিয়ে দেখার পর জানতে পারে ঘটনার পিছনের মালদার যোগসূত্র রয়েছে। এরপর মালদা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে কলকাতা পুলিশ। মালদা পুলিশের তৎপরতায় অবশেষে নিখোঁজ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী উদ্ধার হয় শনিবার। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ বর্মন(Biswajit Barman)। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ বর্মন বিবাহিত। তার দুই সন্তানও রয়েছে।
মালদা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , শনিবারই অভিযুক্তকে কলকাতা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। সেই মতোই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েই টালিগঞ্জের এক কিশোরী প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায় সুদূর মালদহে। শেষ পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ মালদহ পুলিশের সাহায্যে যৌথ তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করল ওই কিশোরীকে। প্রেমিকটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, তিন বছর আগেই টালিগঞ্জের বাসিন্দা এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপ হয় মালদহের মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বর্মন। জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎ বর্মন বিবাহিত ও তাঁর দুটি সন্তান রয়েছে। বিবাহিত হলেও কিশোরীর সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন বিশ্বজিৎ। শেষ পর্যন্ত মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হতেই বিশ্বজিতের হাত ধরে পালিয়ে যায় ওই কিশোরী। এরপর কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা খোঁজখবর নিতে শুরু করে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়া ঘেঁটে খোঁজখবর করতেই কিশোরীর সঙ্গে বিশ্বজিৎবাবুর যোগসূত্র পায়। এরপর মালদহ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে কলকাতা পুলিশ। মালদহ পুলিশের সাহায্য নিয়েই নিখোঁজ কিশোরীকে উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে বিশ্বজিৎবাবুকেও গ্রেফতার করা হয়। কিশোরী জানিয়েছেন, তাঁকে ভয় দেখিয়ে মালদহ নিয়ে গেছে বিশ্বজিৎ। তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।