নিজস্ব প্রতিনিধি: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় এখনই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। সেই মামলারই শুনানি ছিল মঙ্গলবার। এদিন আদালত তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ না দিলেও আদালতে পুলিশকে কেস ডায়েরি পেশ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
আগামী শুক্রবারের মধ্যে আদালতে পুলিশকে কেস ডায়েরি পেশ করতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। কেস ডায়েরির সঙ্গে তদন্তের রিপোর্টও জমা দেবে পুলিশ। কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের পিছনে রাজনীতির অভিযোগ করেছেন নিহতের স্ত্রী। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে এই নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করারও নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এদিন বিচারপতি মান্থা প্রশ্ন তোলেন, পূর্ণিমা কান্দুর অভিযোগ কেন পুলিশ এফআইআর হিসেবে গণ্য করল না? একইসঙ্গে এদিন নিহতের পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। আর সেই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার।
চলতি মার্চ মাসের ১৩ তারিখে খুন হন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর (Jhalda Congress Councillor) তপন কান্দু । পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। মোট ৩টি গুলি লাগে তপনবাবুর শরীরে। এর মধ্যে একটি গুলি লাগে তাঁর মাথায়। রাঁচির হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলরের। কাউন্সিলর খুন হয়ে যাওয়ার পর তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু (Tapan Kandu Murder Case) ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। আদালতে পূর্ণিমার আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচী জানান, ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ তপনকে বারবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য ফোনে বিরক্ত করতেন। তাতে রাজি হননি তপন। উল্লেখ্য খুনের পরই প্রকাশ্যে আসে তপন কান্দুর এক ভাইপোর সঙ্গে আইসির ফোনে কথোপকথনের একটি অডিয়ো। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিতর্কিত ওই অডিয়ো সামনে আসার পরই ঝালদা থানার আইসিকে সরিয়ে দেওয়া হয়।