নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২০ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ (Primary Recruitment) প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির তদন্তে ইডি (ED) এবং সিবিআইকে (CBI) যৌথভাবে তদন্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করেছিল পর্ষদ। সেখানে নিয়ম মেনে উপযুক্ত ও যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল কিনা তা দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তদন্তের স্বার্থে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাড হক কমিটির সদস্যদের নিজেদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তবে ওই অ্যাড হক কমিটির এক সদস্য ৮০ বছরের বৃদ্ধা। তাঁকে নিজেদের সিবিআই কিংবা ইডি হেফাজতে নিতে পারবে না। ২০ মার্চের মধ্যে আদালতে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে তাঁদের। এদিন আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বলেন, আমরা আদালতে প্রমাণ করে দিয়েছি ২০২০ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কী ভাবে বহু প্রার্থী সর্বোচ্চ নম্বরের থেকেও বেশি নম্বর পেয়েছেন।
বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কীভাবে পর্ষদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দ্বায়িত্ব এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে দেওয়া হল? সেটাই তদন্ত করে দেখবে সিবিআই ও ইডি। নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।