এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

Cast Certificate নিয়ে হাইকোর্টের কড়া বার্তা SDO-দের

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: দিন দুই আগেই উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে একটি সরকারি পরিষেবা প্রধান কর্মসূচিতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যে সমস্ত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে জাতিগত শংসাপত্র বা Cast Certificate নেই তাঁরা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদন করতে পারেন। পরিবারের একজনের এই সার্টিফিকেট থাকলেও অন্যরা তা দেখিয়ে আবেদন করতে পারবেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, অনেকের হাতেই ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র(Fake Caste Certificate) চলে গিয়েছে। সেই সব ভুয়ো শংসাপত্র রাজ্য সরকার বাতিল করে দেবে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণা কার্যত বলে দিয়েছিল রাজ্যে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বিলির চক্র বেশ মাথাচাড়া দিয়েছে। এদিন সেই প্রসঙ্গেই একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) কড়া নির্দেশ দিল রাজ্যের সব SDO বা মহকুমা শাসকদের জন্য।  

পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল সদরে সাম্প্রতিক কালে মহকুমা শাসকের বিরুদ্ধের ১৭টি জাল জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতেই কড়া বার্তা দিয়েছে হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘এই মামলা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। রাজ্যকে আরও তৎপর হওয়া উচিত। রাজ্যে যাতে কোনও ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র না থাকে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দিলে তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং ফৌজদারি অপরাধের ধারা প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এইধরনের ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে কিনা তার ওপর নজর রাখবেন জেলাশাসক(District Magistrate)। উপযুক্ত তদন্ত করতে হবে। জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় গাইডলাইন সমেত সার্কুলার জারি করবেন অনগ্রসর শ্রেণীর উন্নয়ন দফতরের(Department of Development of Backward Classes) সচিব। গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থার মধ্যে একটি পচা আপেল থাকলেও রাজ্য তদন্ত করতে বাধ্য। একটি ভুয়ো শংসাপত্র অনেক ক্ষতি করে দিতে পারে।’

এদিন শুনানির সময়ে মামলাকারী জানান, সারা রাজ্যে অন্তত ১৭ জনের ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র রয়েছে। আসানসোলের মহকুমা শাসক দুজনের নাম বাতিল করেছেন। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, ‘ভুয়ো শংসাপত্র না থাকে তার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ যদিও আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, ‘সেই সময় পর্যন্ত যাতে অভিযুক্ত মহকুমা শাসকেরা শংসাপত্র না দিতে পারে তার ব্যবস্থা করুন। যেভাবে সার্টিফিকেট বাতিল করেছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে অভিযোগের সত্যতা আছে। রাজ্য এভাবে বসে থাকতে পারে না। একটা ভিজিলেন্স বসানো উচিত। ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস সচিব নোটিশ দিয়ে সমস্ত জেলাকে জানাবেন কাদের সার্টিফিকেট হয়েছে। আদালতে জানাতে হবে। যদি কোন অফিসার ফেক সার্টিফিকেট ইস্যু করেন সেক্ষেত্রে তাঁদের দায়িত্ব নিতে হবে। এক্ষেত্রে সার্টিফিকেট ইস্যু করেন মহকুমা শাসকেরা।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সাংসদ হিসাবে হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে শুক্রে মনোনয়ন জমা অভিষেকের

বঙ্গে রবিবার পর্যন্ত চলবে ঝড়-বৃষ্টি, আগামী সপ্তাহে ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা

২০২৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কবে থেকে, জেনে নিন

উচ্চ মাধ্যমিকে সফল পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা মমতার

উচ্চ মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় কলকাতাকে টেক্কা দিয়ে শীর্ষে হুগলি

রাজ্য জুড়ে পালিত রবীন্দ্র জয়ন্তী, বিশ্বকবিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর