নিজস্ব প্রতিনিধি: ঠিক ছিল দুই যমজ শহরের পুরনির্বাচন আগে করিয়ে নেওয়া হবে। যেহেতু দুই শহর কলকাতা ও হাওড়াতে টিকাকরণ হয়েছে ব্যাপকভাবে তাই সেটাকে হাতিয়ার করে দ্রুত পুরভোট হবে। সেই মর্মে বালি পুরসভাকে আলাদা করতে সংশোধনী বিল আনা হয় বিধানসভায়, যা সর্বসম্মতিতে পাশ হয়। কিন্তু আইন হওয়ার জন্য রাজ্যপালের কাছে সেই বিল গেলেই ফিরত পাঠিয়ে দেন ধনকড়। হাওড়া পুরসভার সংশোধনী বিলে একাধিক ত্রুটি খুঁজে তাঁর জবাব চেয়ে বিল ফেরত পাঠান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আর এই পর্ব চলতে গিয়ে হাওড়া ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ করতে পারেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আর হাওড়াতে পুরভোট না হওয়ার জন্য রাজ্যপালকেই কাঠগড়ায় তুললেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাজ্যপালকে নিশানা করে বিধানসভার স্পিকার বলেছেন, ‘হাওড়া বিল দ্রুত গতিতে পাশ না-করানোর জন্য সেখানে ভোট হল না। এটা না-হওয়ার কোনও কারণ ছিল না। এটা বুঝতে হবে যে কোনটা প্রয়োজন। যদিও একদিনে কৃষি বিলে রাষ্ট্রপতি সই করতে পারেন, তা হলে এটা হল না কেন? রাজ্যপালকে আমরা সব পাঠিয়ে দিয়েছি। উনি কি উদ্দেশ্যে আটকে রেখেছেন, তা জানি না।’ এর ফলে ফের একবার স্পিকার ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত ঘটল বলাই চলে। এর আগে কখনও পিএসি চেয়ারম্যান হিসেবে মুকুল রায়ের নিয়োগ কিংবা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার হাওড়ার পুরভোট নিয়ে রাজ্যপালকে নিশানা করে ফের নতুন বিতর্কের সূত্রপাত করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।