নিজস্ব প্রতিনিধি: পুজোর মুখে মাথায় হাত পড়ে গেল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের(Burdhwan University) আধিকারিকদের। কেননা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার ৫০ কোটি(50 Crores) টাকার আয়কর জরিমানার চিঠি পাঠিয়েছে বাংলার এই স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই ঘটনা সামনে আসতেই তড়িঘড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির বৈঠকও ডাকা হয়। সূত্রের খবর,অসেই বৈঠকে পূর্বতন ফিনান্স অফিসারের ভুল ও বর্তমান ফিনান্স অফিসার সৌগত চক্রবর্তীর বিষয়টিতে গুরুত্ব না দেওয়ার কথাও উঠে আসে। তবে সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় দেশের কোনও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপরেই কোনও আয়কর ধার্য হয় না। সেক্ষেত্রে আয়কর মন্ত্রক(Income Tax Department) কেন ৫০ কোটি টাকার জরিমানা ধার্য করেছে আর এই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের আয়কর দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স বিভাগ কোনও কারণবশত সেই নির্দেশিকা মানেনি। যদিও আয়কর বিভাগের তৎকালীন অ্যাসেসমেন্ট অফিসার বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরে বিষয়টি এনেও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পরে নতুন অ্যাসেসমেন্ট অফিসার এসে পুরোনো ফাইল খুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাফিলতির কথা জানতে পারেন। এর পরেই প্রায় ৫০ কোটি জরিমানা বাবদ দেওয়ার কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি পাঠায় আয়কর মন্ত্রক। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা(Nimai Chandra Saha) জানিয়েছেন, ‘দেশের কোনও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও ইনকাম ট্যাক্স লাগে না। একটা খাতের টাকা ভুল করে অন্য খাতে দিয়ে ফেলেছে ফিনান্স বিভাগ। এটা আমাদেরই ভুল। আমরা ইসি মিটিং ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। ফিনান্স আধিকারিক এ বিষয়ে আয়কর মন্ত্রকের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’ যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, আয়কর মন্ত্রকের এই নোটিস পাওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির যে বৈঠক ডাকা হয় সেখানে এই বিষয়টি নিয়ে ইনকাম ট্যাক্স ট্রাইবুনালে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।