নিজস্ব প্রতিনিধি: এক বেসরকারি প্রযোজনা সংস্থার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্যুটিং করা নিয়ে তৈরি হল বিতর্ক। টাকার বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে শ্যুটিংয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তীর ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের দিকে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফ্যাকাল্টির ইউনিয়ন আফসুর তরফ থেকে নিজেদের একটা ভিডিয়ো শ্যুট করার জন্য ফরমাল পার্মিশন নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাইরের কোনও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এজেন্সিকে টাকার বিনিময় শ্যুটিং করার অনুমতি নেওয়া হয়নি। শ্যুটিংয়ের এই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন কয়েকজন পড়ুয়া। এরপর সহ-উপাচার্য রেজিস্টারকে বলে শ্যুটিং বন্ধ করিয়ে দেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন। ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন ঘটনা বলে ক্ষমাও চেয়েছেন তাঁরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এসএফআইয়ের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ‘গত এক সপ্তাহ আগে একটি প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্টস ইউনিয়য়ের একজন অফিস বিয়ারারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কোনো জায়গায় শ্যুটিং এর অনুমোদন কোনো ছাত্র ইউনিয়নই দিতে পারেনা। এই ক্ষেত্রেও সেই কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষর সাথে যোগাযোগ করানোর কাজটুকু আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের তরফ থেকে করানো হয়। সেই অনুযায়ী সহ-উপাচার্য এবং ডিন অফ স্টুডেন্টসের অনুমতি সাপেক্ষে হোস্টেল সুপারিন্টেন্ডেন্টকে হোস্টেলে শ্যুটিং-এর বিষয়টি জানানো হয়। এই প্রযোজনা সংস্থা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে আফসু’র ইউনিয়ন ফান্ডে ১৬,৪০০ টাকা দেওয়ার কথা জানায়। সেই অনুযায়ী গতকাল তারা সেই টাকা পাঠায়। পরবর্তীতে শ্যুটিং বাতিল হওয়ায় সেই টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে। এই বিষয়টি হোস্টেল সুপারিন্টেন্ডেন্টের জ্ঞাতার্থে থাকায় তাঁরই দায়িত্ব ছিল যে হোস্টেলে শ্যুটিং হওয়ার কথা, সেখানকার ছাত্রছাত্রীদের জানানো, কিন্তু তা না হওয়ায় যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। এই গোটা পরিস্থিতিতে আমরা আফসু’র পক্ষ থেকে ক্ষমাপ্রার্থী।’