নিজস্ব প্রতিনিধি:কসবার একটি স্কুলের ৫ তলা থেকে পড়ে এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো। সোমবার দুপুরে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ওই স্কুল চত্বরে। ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছে নাকি সে দুর্ঘটনাবশত পড়ে গিয়েছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনা স্থলে পৌঁছেছে কসবা থানার(Kasba P.S.)পুলিশ।রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ছাত্রকে মুকুন্দপুরের একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় কসবার সিলভার পয়েন্ট স্কুলে(Sliver Point School) রীতিমত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রচুর ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকরা সেখানে জড়ো হয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে।স্কুল ও পরিবার সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম শেখ শান।
প্রচুর পরিমাণে পুলিশ ওই স্কুলটিতে পাঠানো হয়েছে। ওই ছাত্রটি আত্মহত্যা করেছে নাকি, তাকে কেউ পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিয়েছে তা জানতে স্কুলে থাকা সিসিটিভির(CCTV)ফুটেজ খতিয়ে দেখছে কসবা থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে যেটা জানা গিয়েছে, প্রজেক্ট জমা দিতে না পারায় তাকে মানসিক চাপ দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছে দুপুর দুটো নাগাদ কসবা থানার অন্তর্গত রথতলার সিলভার পয়েন্ট হাই স্কুলে।স্কুল ও পরিবার সূত্রে খবর, ছাত্রের নাম শেখ শান। কসবার এক বেসরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়া। সোমবার তার প্রজেক্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একটি প্রজেক্টের খাতা সে নিয়ে যায়নি। যার জেরে ক্লাসের দুই শিক্ষিকা তাকে বকাঝকা করেন বলে খবর। এমনকী, কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে বলা হয়েছিল শেখ শানকে(Sk. San)। এরপর সে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায় বলে পরিবারের দাবি। কেন স্কুলের নিরাপত্তারক্ষীরা ছাত্রের গতিবিধির দিকে নজর রাখল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পড়ুয়ার পরিবার।
পরিবারের আরও অভিযোগ, প্রথমে স্কুল থেকে বলা হয়েছিল তাদের ছেলে সিঁড়ি থেকে পরে গিয়েছে। মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভরতি করা হয়েছে। পরিবারের লোক সেখানে পৌঁছে জানতে পারেন তাদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি, ৫ তলা থেকে পড়লে ছেলের হাড় ভাঙার কথা। কিন্তু তার সারা শরীরে কোনও চোট নেই। শুধুমাত্র নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। এনিয়ে স্কুলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে রহস্য দানা বাঁধছে।