এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘রাজ্যপাল বিজেপির এজেন্ট,’ তোপ কুণালের

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাংবিধানিক পদে থেকেও নির্দিষ্ট একটি দলের হয়ে কাজ করছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, যেটা অনৈতিক। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। মূলত, হাওড়া ও বালি পুরসভার আলাদা করার বিলে রাজ্যপালের সই না করা নিয়ে তীব্র বিরোধ চলছে। এই ইস্যুতে ফের একবার রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কুণাল ঘোষ। সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘উনি কখন কী বলেন, কখন কী করেন তা ওঁনার ব্যাপার। যদি অদৌ সই না করেও থাকেন তাহলে উচিত সইটা করে দেওয়া। এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। রাজ্যপালের পদটি সাংবিধানিক পদ, এই পদটিকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু ব্যক্তি জগদীপ ধনখড় বিজেপির এজেন্টের মতে কাজ করে চলেছেন। বিজেপি এরাজ্যে যখন প্রত্যাখাত হচ্ছে, নেতারা ডুবছেন তখন বিজেপির হয়ে কী করা যায় তা ওঁর কাছে অগ্রাধিকার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার মনে হয় এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ না করে সইটা করে দেওয়া উচিত।’

প্রসঙ্গত হাওড়া পুরসভার ২০২১ বিলে রাজ্যপাল সই না করার জন্যই অশান্তির সূত্রপাত। সই না হওয়ায় হাওড়া পুরসভার থেকে বালিকে আলাদা করা যায়নি। ফলে পুরভোট করাতে গিয়েও পিছু হাঁটতে হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। এর মাঝে গত বৃহস্পতিবার অ্যাডভোকেট জেনারেল কলকাতা হাইকোর্টে জানান হাওড়া ও বালি পুরসভার আলাদা সংক্রান্ত বিলে সই করেছেন রাজ্যপাল। যা নাকচ করে দিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় শনিবার টুইটে জানান, তিনি হাওড়া ও বালিকে পৃথকীকরণের বিলে সই করেননি। এই টুইট সামনে আসতেই ফের হাওড়া ও বালির পুরভোট নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। যা কার্যত উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত বলেই মনে করছে রাজ্যের শাসকদল। কারণ বৃহস্পতিবার আদালতে বিষয়টি জানানো হলেও গোটা একদিন চুপ ছিলেন রাজ্যপাল। আচমকাই শুক্রবার সন্ধ্যায় শুভেন্দু সাক্ষাতের পরেই শনি সকালে এই টুইট করেছেন রাজ্যপাল। যা খুব একটা ভালো চোখে দেখছে না রাজ্যের শাসকদল।

শনিবার টুইটারে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট যে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল শ্রী জগদীপ ধনখড় হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল, ২০২১-এ অনুমোদন দিয়েছেন। কিন্তু তা ঠিক নয়। এটি সংবিধানের ২০০ অনুচ্ছেদের অধীনে বিবেচনাধীন রয়েছে। কারণ এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে কিছু প্রশ্নের জবাব প্রত্যাশিত।’ ২০১৫ সালের আগে বালি আলাদা পুরসভা ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার তাঁকে হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে সংযুক্ত করে। তার জেরে বালির ৩৫টি ওয়ার্ড কমে দাঁড়ায় ১৬-তে যা হাওড়া পুরনিগমের ৫০টি ওয়ার্ডের সঙ্গে যোগ হয়। তার জেরে হাওড়া পুরনিগমে মোট ওয়ার্ড বেড়ে হয় ৬৬। কিন্তু চলতি বছরের প্রথম দিকেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয় বালিকে ফের হাওড়া পুরনিগম থেকে আলাদা করে পৃথক পুরসভা হিসাবে গড়ে তোলা হবে। সেই লক্ষ্যেই করার ‘দ্য হাওড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল ২০২১’ আনে রাজ্য সরকার। সেই বিল বিধানসভায় পাশ হয়ে গেলেও এখন রাজ্যপাল তাতে সই করতে চাইছেন না। আর তার জেরেই এখন এই দুই পুরসভার নির্বাচন ঘিরে চূড়ান্ত জটিলতা দেখা দিল।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

গার্ডেনরিচকাণ্ডের জের, বদলি করা হল কলকাতা পুরসভার ৩১ জন ইঞ্জিনিয়ারকে

বোসকে নিয়ে ভোট বাংলায় বিপাকে বিজেপি

কলকাতা পুরসভার কোয়ার্টারে খুন তরুণ, তদন্তে পুলিশ

তীব্র গরমের কারণে পুলিশকর্মীদের রোটেশন পদ্ধতিতে ডিউটি বণ্টনের প্রস্তাব

বিশ্ব হাসি দিবসে প্রকাশিত হল প্রয়াত অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌতুক নকশা

সোমবার থেকে বঙ্গে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা উধাও, ধেয়ে আসছে ঝড় – বৃষ্টি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর