এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দূরত্ব যে কমেছে সেটা আবারও বুঝিয়ে দিলেন মমতা

নিজস্ব প্রতিনিধি: দুইয়ের মধ্যেকার যোগাযোগ সে অর্থে আগে ছিল না। একজন ছিলেন বাংলার(Bengal) বিরোধী দলনেত্রী, অন্যজন গুজরাতের(Gujrat) মুখ্যমন্ত্রী। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদল ঘটেছে দুইজনের পদেই। একজন হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী(Chief Minister), অন্যজন দেশের প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister)। তবুও দূরত্ব ছিল বিস্তর। রাজনৈতিক বিরোধিতা ছিল, কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ তাতে ছিল না। সেই ব্যক্তিগত আক্রমণটাই শুরু হয় উনিশের প্রেক্ষাপটে। বিরোধ চরমে ওঠে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে। কিন্তু ছবিটায় বদল ঘটতে শুরু করে ২০২২ সালের শেষ লগ্নে এসে। একজন যেমন বোঝেন বাংলার উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে চলা প্রয়োজন, তেমনি অন্যজন বোঝেন দেশের ক্ষমতা হাতে রাখতে গেলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও পাশে রাখা প্রয়োজন। এই দুইয়ের উপলব্ধি দুইজনকেই কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। দূরত্ব ঘুচেছে। সেটাই এদিন নতুন করে বুঝিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। জানিয়ে দিলেন, সদ্য সদ্য মাতৃবিয়োগ ঘটেছে প্রধানমন্ত্রীর। তাই এখনই নতুন করে বকেয়া চেয়ে তাগদা নয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi)।

আরও পড়ুন কৈফিয়ত তো আমাকে দিতে হবে, কেন বললেন মমতা

কেউ একে বলবেন রাজনীতির মাস্টারস্ট্রোক। কেউ বা বলবেন রাজনীতির বাধ্যবাধকতা। হয়তো দুটির কোনওটিই নয়, কিংবা দুটির সংমিশ্রণ। কিন্তু অস্বীকার করার উপায় নেই, মোদিকে নিয়ে এখন অনেকটাই সংযত মমতা। মানসিকতা এখন সহযোগিতার, নয় বিরোধিতার। এই ছবি দেখা যাবে আরও বেশি করে, ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে। মমতার পাশে বারে বারে দাঁড়াবেন মোদি, প্রধানমন্ত্রীর পাশেও দেখতে পাওয়া যাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। গতকাল ২৫ বছর পূর্ণ করে ২৬ বছরে পা রেখেছে তারুণ্যে ভরপুর তরতাজা তৃণমূল। দলের সেই প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এদিন অর্থাৎ সোমবার দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা। সেখানে তৃণমূলের শীর্ষ সব নেতা, জনপ্রতিনিধিরা, মন্ত্রীরাও ছিলেন। ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখানেই মমতা বার্তা দিলেন মোদির পাশে থাকার। যা রাজনৈতিক ভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা এখনও পর্যন্ত মোদির পাশে এভাবে কাউকে প্রকাশ্যেই দাঁড়াতে দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন বাম-রাম এক হয়ে গিয়েছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এদিন ফের একবার ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মমতা। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘১০০ দিনের কাজে বাংলা ঠিকমতো টাকা পাইনি। দেরি করে টাকা পাঠালে পরিকল্পনা তৈরি করে তা বাস্তবায়ন করতে সমস্যা হয়। আমি এই নিয়ে তিনবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। কিন্তু, এখন আমি কিছু বলব না। কারণ তাঁর মা মারা গিয়েছেন। এটা ব্যক্তিগত শোকের সময়। ফলে এখনই এই নিয়ে কিছু বলতে চাইছি না। ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের তরফে ছয় হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। যারা কাজ করছে তাঁদের টাকাও দেওয়া হয়নি আর পরবর্তী কাজও দেওয়া হয়নি। এটা অন্যায়, এটা সংবিধান বিরোধী। টাকা না পাঠালেও আমার নিজেরা টাকা খরচ করেছি। সেদিন গঙ্গা মিশন নিয়ে বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়েছি।’ মমতার এই অবস্থান এখন জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে কুর্ণিশ আদায় করে নিচ্ছে। একই সঙ্গে আশ্বাস অর্জন করছে বিজেপিও। হয়তো আর কেউ মোদির পাশে না থাকুন, মমতা থাকবেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনছেন না কেন, রাজ্যপালকে নিশানা অভিষেকের

বিজেপির বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের

বঙ্গে তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটে ঘনিয়ে আসছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সর্তকতা জারি

সন্দেশখালি নিয়ে ট্যুইট মমতার, নিশানায় বিজেপি, তোপ অভিষেকেরও

শ্লীলতাহানিকাণ্ডে রাজভবনের কাছ থেকে  সিসিটিভি ফুটেজ চাইল লালবাজার  

RERA’র নির্দেশে সুদে আসলে ২১ লক্ষ টাকা ফেরত পেলেন বৃদ্ধ দম্পতি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর