নিজস্ব প্রতিনিধি: শনিবার কালীঘাটে সাত শীর্ষ নেতাদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়ে দেন এবার থেকে জাতীয় স্তরের সংগঠন বলে কিছুই থাকবে না। যার ভিত্তিতে ২০ জনের কর্মসমিতির নাম ঘোষণা করে সমস্ত জাতীয় পদ লুপ্ত করে দেওয়া হয়। পদ হারিয়েছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও গত শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন খুব শীঘ্রই জাতীয় স্তরের সংগঠনের পদের নাম ঘোষণা হবে। এর মাঝেই ২০ জনের জাতীয় কর্মসমিতি নিয়ে আগামী শুক্রবার কালীঘাটেই জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
তৃণমূলের মধ্যেই অন্তদ্বন্দ ও ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নিয়ে সরব হওয়া যুব নেতাদের আন্দোলনের মধ্যেই জরুরি বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন মমতা। এক বৈঠকে অবলুপ্তি ঘটান তৃণমূলের জাতীয় স্তরের সমস্ত পদের। শুধুই নিজে চেয়ারপার্সন হিসেবে থেকে যান। এবার শুক্রবারেই ২০ জনের কর্মসমিতির সদস্যদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছেন মমতা। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই হয়ত তিনি অন্যান্য জাতীয় পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করবেন। সেই বৈঠকে একাধিক বিষয়ে নির্দেশেও দিতে পারেন মমতা, এও জানা গিয়েছে। তৃণমূল নেত্রী বারবার একাধিক সভামঞ্চে বলছেন তাঁর এবারের লক্ষ্য দিল্লি। তাই জাতীয় স্তরে দলের সংগঠন বাড়াতে একগুচ্ছ নির্দেশেও দিতে পারেন মমতা। দলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া এই কর্মসমিতিতে রয়েছেন মোট ১৯ জন। বাদ পড়েছেন অনেকেই।
শুক্রবার জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম বৈঠকের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই বৈঠক থেকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে দলের মহাসচিব পর্যন্ত সব পদাধিকারীদের নাম জানাতে পারেন দলনেত্রী মমতা। গত ২ ফেব্রুয়ারি সর্বভারতীয় তৃণমূলের ভোটাভুটি হয়। সংগঠনে কাদের আনা হবে নতুন পদে? কোন পদ অবলুপ্তি ঘটবে? জাতীয় স্তরে আর কাকে কী পদ দেওয়া হবে তাও শুক্রবারই চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।