নিজস্ব প্রতিনিধি: বৈশাখের তীব্র দাবদাহকে সঙ্গী করেই অসময়ে কলকাতার বুকে শুরু হয়ে গেল চলচ্চিত্র উৎসব। সোম বিকালে নজরুল মঞ্চে ২৭ তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের(KIFF 2022) উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বলিউড অভিনেতা তথা সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা(Shatrughna Sinha) ও তাঁর স্ত্রী পুনম সিনহা। অনান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রঞ্জিত মল্লিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়(Prasenjeet Chatterjee), সন্দীপ রায়, মাধবী চক্রবর্তী, দেব, কোয়েল মল্লিক, শতাব্দী রায়, ইন্দ্রাণী হালদার, শুভশ্রী, পাওলি দাম, রুক্মিণী মৈত্র, সায়ন্তিকা, রাজ চক্রবর্তী-সহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও জুন মালিয়া।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গতবার কোভিডের মধ্যেও চেষ্টা করেছিলাম চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করতে। এবারও হওয়ার কথা ছিল না, সবাই বলছিল হবে না হবে না হবে না। আমি বলেছিলাম হবে হবে হবে। শেষে আজ শুরুও হ্যে গেল। বাংলা সিনেমার জৌলুস এখন অনেক বেড়েছে। ১৬৩টি সিনেমা দেখানো হবে এবারের চলচ্চিত্র উৎসবে। সহযোগী দেশ ফিনল্যান্ডকে ধন্যবাদ। লতা মঙ্গেশকর, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, বাপ্পি লাহিড়ী, অভিষেক চট্টোপাধ্যায় আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। এদের কথা আজ খুব মনে পড়ছে। আমি বঙ্গবিভূষণ দিতে চেয়েছিলাম লতাজিকে মুম্বইতে গিয়ে। কিন্তু সেই সুযোগ হল না। সন্ধ্যাদি এত ভালো শিল্পী হয়েও আমার কাছে গান শুনতে চাইতেন। বাপ্পিদার মনটা অনেক বড় ছিল। খুব দু:খ পাই, যখন তাঁদের কথা মনে পড়ে। কিছুদিন আগে অভিষেকও চলে গেল। বাংলায় কী নেই! বারুইপুরে ১০ একর জমির ওপর টেলি অ্যাকাডেমি তৈরি করেছি। বাংলা চলচ্চিত্র বিশ্বের সেরা চলচ্চিত্র। পুরনো বাংলা ছবি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। বাংলা চলচ্চিত্রের উন্নতিতে কাজ করছি। অনেকগুলি নতুন স্টুডিও তৈরি করেছি। সিনে মিউজিয়াম তৈরি হচ্ছে। পরের বার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ফিল্ম দুনিয়াকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।’
এদিন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথা সাংসদ ও অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ‘মানিকদার ভক্ত ছিলাম, এখনও আছি। আমি মহান অভিনেতা কি না জানি না। যাঁরা বলেন একথা, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। মৃণালদা একজন মহান পরিচালক। উৎপল দত্ত, পাহাড়ি সান্যালদের মতো সব দুর্দান্ত অভিনেতা এখানে ছিলেন। প্রসেনজিৎ খুব ভালো অভিনেতা।’ অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘যাঁরা সিনেমা দেখতে চান, তাঁদের কোথাও একটা কষ্ট হচ্ছিল, কারণ এই উৎসবটা হয়নি। কেন হয়নি সেই কারণটা সবাই জানি। এই উৎসবের জন্য আমিও অপেক্ষা করে থাকি। বেশ ভালো লাগছে সেটা আবার ফিরে আসায়।’