নিজস্ব প্রতিনিধি: গতকালই ছিল দলের ২৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস। তার একদিন পরেই বাংলার শাসক দলের দুই বর্ষীয়ান নেতা জানিয়ে দিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসে(TMC) শেষ কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই(Mamata Banerjee)। এই দুই নেতা হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব(Gautam Deb) এবং রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ ববি হাকিম(Firhad Hakim)। গতকালই দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি জানিয়ে দিয়েছিলেন, তৃণমূলে যারা আছে তাঁরা সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। নেত্রী নেতৃত্ব দেবেন এবং তাঁর দেখানো পথে এগিয়ে যাবেন সৈনিকেরা। এদিন গৌতম দেব ও ফিরহাদ হাকিম দুইজনই কার্যত সুব্রত বক্সির সুরে সুর মিলিয়েই সেই মতকেই প্রাধান্য দিলেন। সব থেকে বড় কথা গৌতমবাবু এদিন দলনেত্রীর সঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) তুলনাও টেনে দিয়েছেন। ফিরহাদ কী জানিয়েছেন? তিনি বলেছেন, ‘দলের রাশ কোথাও যাচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সব। তাঁর বিকল্প ভারতের রাজনীতিতে কেউ নেই। উনি সবার উপরে। আমাদের শরীর যতদিন ঠিক থাকবে, ততদিন আমরা নেতৃত্ব দেব। তারপর যুবরা এগিয়ে আসবে।’
কী বলেছেন গৌতম দেব? তিনি জানিয়েছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া দল অভিভাবকহীন। তিনি দলের একমাত্র নেত্রী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চয়ই দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। কিন্তু মমতার সঙ্গে তাঁর তুলনা হয় না। নতুনদের কী কর্তব্য রয়েছে দলের প্রতি, তা বুঝতে হবে, জানতে হবে, শিখতে হবে। তাঁদের আগে ইতিহাস জানতে হবে। প্রবীণ রাজনীতিকদের থেকে কাজ শিখে অভিজ্ঞতার সঞ্চার করতে হবে। দলের প্রবীণদের উচিত তৃণমূলের ইতিহাস জানানো নবীনদের। আমি এখানে বলেছি দিদির লেখা বইয়ের উপজীব্য তুলে একটা বই বানিয়ে নতুনদের হাতে তুলে দেব। যাতে তাঁরা ইতিহাস জানতে পারেন। তৃণমূল কংগ্রেস আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমার্থক। জল ছাড়া যেমন মাছ বাঁচে না এখানেও তেমনটা। দিদি নিজেই বলেছেন, পরপর প্রজন্ম তৈরি করবেন। অভিষেক নিশ্চিতভাবে এই প্রজন্মের আইকন। তিনি আড়াই তিনমাস রাস্তায় ছিলেন। বিভিন্ন ভাষায় সুন্দর কথা বলেন। মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মমতার পর অভিষেক নিশ্চিতভাবে মানুষের মধ্যে জায়গা করে নেবেন।’