নিজস্ব প্রতিনিধি: ইউনেস্কোর ঐতিহ্য স্বীকৃতি নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বসানো ‘বিতর্কিত’ ফলক সরানোর দাবিতে ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার নিজের ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের ‘গায়ে মানে না আপনি মোড়ল গিরি’-কে বিঁধে অবিলম্বে ওই ‘অহংকারী’ ফলক সরানোর দাবি জানিয়েছেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে যোগ্য সম্মান দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
এদিন নিজের ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে মমতা লিখেছেন, ‘’কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী একটি বৈশ্বিক ঐতিহ্যবাহী স্থান। কিন্তু সেখানকার বর্তমান প্রাতিষ্ঠানিক কর্তৃপক্ষ যে স্মারক ফলক বসিয়েছে তাতে উপচার্যের নাম থাকলেও কবিগুরুর নাম নেই। ওই ফলক বসিয়ে কার্যত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেই অপমান করা হয়েছে।’ এর পরেই কেন্দ্রকে পরামর্শ দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ, এই অহংকারী, আত্মপ্রদর্শনবাদের নমুনাটিকে সরিয়ে দেওয়া হোক এবং গুরুদেবকে যাতে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দেশ জানাতে পারে, তার ব্যবস্থা হোক।’
Gurudev Rabindranath Tagore created a world heritage site (now recognized by UNESCO) at Santiniketan – Visva Bharati, but the current institutional authorities there have arranged site memorial plaques on this occasion which display even the Vice Chancellor’s name but not the…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 28, 2023
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবারই সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিতর্কিত ফলক নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন, ‘শান্তিনিকেতন থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম তুলে দিল। যদি ওই ফলক না তোলে, তাহলে কাল (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে আমাদের লোকেরা রবীন্দ্রনাথের ছবি নিয়ে বসবে।’ সম্প্রতি কবিগুরুর প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র বা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল জাতিসঙ্ঘের সংস্থা ইউনেস্কো। ওই স্বীকৃতির পিছনে বিশ্বভারতীর বর্তমান কর্তৃপক্ষের বিন্দুমাত্র অবদান নেই। কিন্তু প্রচারলোভী হিসেবে পরিচিত বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজের নাম প্রচারের জন্য জনগণের দেওয়া করের টাকায় তড়িঘড়ি একটি ফলক বসান। ওই ফলকে নিজের রাজনৈতিক প্রভু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও নিজের নাম লেখান। কিন্তু কোথাও বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথের নাম নেই। আর তা নিয়েই বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে।