এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘অধীর চৌধুরীকে তৃণমূল বুঝিয়ে দেবে, বহরমপুর কার গড়’, দাবি নাড়ুগোপালের

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূলের(TMC) জন্মের পর থেকে বাংলার যে সব লোকসভা কেন্দ্রে আজও একবারের জন্যও ঘাসফুল ফোটেনি তার অন্যতম হল মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর(Baharampur Constituency)। সেখানে ১৯৯৯ সাল থেকে টানা সাংসদ হিসাবে রয়েছেন ‘বাম-বিজেপি বান্ধব’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী(Adhir Ranjan Chowdhury)। এবারেও সেই আসনে কংগ্রেস তাঁকে প্রার্থী করেছে। কিন্তু এবার তৃণমূলও সর্বশক্তি দিয়ে এই আসন দখল করতে নামছে। জোড়াফুল শিবির থেকে এবার এই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। সেই পাঠানের জয় যাতে মসৃণ হয় তার জন্য এবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) বড় দায়িত্ব দিয়েছেন জেলার ২ তৃণমূল নেতাকে। একজন বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়(Narugopal Mukherjee), অপরজন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর(Humayun Kabir)। এদের মধ্যে বড় কাজের দায়িত্ব পেয়েই নাড়ুগোপাল জানিয়ে দিয়েছেন, ‘অধীর চৌধুরীকে তৃণমূল বুঝিয়ে দেবে, বহরমপুর কার গড়’। আর হুমায়ুন জানিয়েছেন, ‘মমতাদি আমার ওপরঅযে ভরসা রেখেছেন, আশা করছি আমি তা রক্ষা করতে পারব।’

উনিশের লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই মুর্শিদাবাদের মাটিতে জয়যাত্রা শুরু তৃণমূলের। সেবার অতিবড় মোদি ঝড়ের মধ্যেও মুর্শিদাবাদ জেলার ৩টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে তৃণমূল একার জোরে ২টি লোকসভা কেন্দ্র দখল করে। জঙ্গিপুরে জেতেন খকিলুর রহবান এবং মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে জেতেন আবু তাহের খান। এবারেও এই দুইজনকে ওই সুই আসনেই টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। তবে বহরমপুর উনিশের ভোটে অধীরের দখলেই থেকে গিয়েছিল। একুশের ভোটে মুর্শিদাবাদের মাটিতে তৃণমূলের থাবা আরও জোরে মাটিতে বসে যায়। জেলার ২২টি বিধানসভা কেন্দ্রে মধ্যে ২০টিতেই হয়ের মুখ দেখে জোড়াফুল। বিজেপি জেতে মাত্র ২টি আসনে। বহরমপুর ও মুর্শিদাবাদ। এবারে সেই কারণে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে বাড়তি নজর রাখছে তৃণমূল। সেই সূত্রেই মমতা বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছে নাড়ুগোপাল ও হুমায়নকে। উনিশের ভোটে অধীর জিতেছিলেন মূলত বহরমপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত লিডের দৌলতে। সে কথা মাথায় রেখেই মমতা এবার নাড়ুগোপালকে বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছেন যাতে অধীর কোনও ভাবে বহরমপুর পুরসভা এলাকা থেকে আগের বারের মতো লিড না পান। তবে গোটা লোকসভা কেন্দ্রে দলের রণকৌশলের জন্য নেত্রীর ভরসা হুমায়ুনই।

কেন হুমায়ুন? কেননা বার বার বিদ্রোহী হওয়া এই নেতা অধীরের প্রাক্তন শিষ্য। তিনি বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র হাতের তালুর মতো চেনেন। গড়গড় করে বলে দিতে পারেন লোকসভার যাবতীয় ভোট-পরিসংখ্যান। গোটা লোকসভা কেন্দ্র জুড়েই দলের বুথকর্মীদের সঙ্গে নিবির যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। এর পাশাপাশি বহরমপুরের পাঁচ বারের সাংসদ অধীরের ‘ডান হাত’ও ছিলেন হুমায়ুন। ফলে বিদায়ী সাংসদের কোথায় দুর্বলতা রয়েছে, সে ব্যাপারে তৃণমূল বিধায়কের সম্যক জ্ঞান রয়েছে। দলনেত্রী হয়তো তাকেই কাজে লাগাতে চাইছেন। এমনই অভিমত জোড়াফুলের কর্মীদের। হুমায়ুন নিজে জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ভাল মতোই জানেন যে, বহরমপুর লোকসভা আমার হাতের তালুতে রয়েছে। অধীরের স্ট্র্যাটেজি কেউ যদি কৌশলগত ভাবে ভাঙতে পারে, তার নাম হুমায়ুন। দীর্ঘ দিন অধীরবাবুর সঙ্গে রাজনীতি করেছি। তিনি কী ভাবে কোথায় লিড পান, আমার সব জানা। যে ভরসা মমতাদি আমার ওপর রেখেছেন, আশা করছি আমি তা রক্ষা করতে পারব।’ অন্যদিকে নাড়ুগোপাল জানিয়েছেন, ‘গোটা বহরমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য মুখ্যমন্ত্রী আমাকে আরও বেশি সক্রিয় হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে। অধীর চৌধুরীকে তৃণমূল বুঝিয়ে দেবে, বহরমপুর কার গড়।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হলে হাতা- খুন্তির লড়াই, হুঁশিয়ারি মমতার

মালদায় পুলিশি অভিযানে উদ্ধার ২৮ কোটির মাদক, ৩২ লাখ টাকা, গ্রেফতার ১

মহিলাদের অপমান করেছে বিজেপি, সন্দেশখালি নিয়ে সুর চড়ালেন অভিষেক

কনে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে শিলিগুড়িতে গাড়ি উল্টে মৃত্যু দু’জনের,আহত অন্তত ২৮

বহরমপুরের কিছু বুথে পুনরায় ভোটের দাবি কংগ্রেসের

বাইরে থেকে ইন্ডিয়া জোটকে সমর্থন, জানালেন মমতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর