নিজস্ব প্রতিনিধি: ইরফান খান, ভারতীয় বিনোদনের উজ্জ্বল নক্ষত্র। ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মারা যান অভিনেতা। ভারতীয় বিনোদন কে দেওয়া তাঁর এক একটা মূল্যবান উপহার আজও মানুষের কাছে তাজা। ক্যান্সারে বহুদিন ভুগেছেন তিনি। হিন্দি নয়, হলিউড ছবিতেও অভিনয় করেছেন ইরফান খান। তাঁর অসাধারণ প্রতিভাই তাঁকে ভক্তদের মনে আজও জীবিত রেখেছে। প্রচুর সম্মানিত পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন ইরফান খান। তাঁর ছেলে বাবিল খানও বলিউডের একজন অভিনেতা। প্রায়শই বাবার স্মৃতিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন তিনি। ইরফান তাঁর জীবদ্দশায় ভারত এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই একজন বিখ্যাত অভিনেতা ছিলেন। তাঁর একটি সুপারহিট চলচ্চিত্র ‘পিকু’।
সুজিত সরকার পরিচালিত ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, দীপিকা পাড়ুকোন এবং অমিতাভ বচ্চনও। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ইরফান। তিন তারকার সমন্বয়ে নির্মিত হয় এই ছবি। কিন্তু এই ছবিতে ইরফানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করার আগে খুবই নার্ভাস ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। কারণ তিনি ভেবেছিলেন, যেহেতু ইরফান একজন মূলধারার অভিনেতা, তাই তাঁর থেকে জুনিয়র শিল্পীকে হয়তো “নীচু করে দেখবেন” তিনি। পিকু ছবির শিরোনাম চরিত্রেই অভিনয় করেন দীপিকা পাড়ুকোন। আর তাঁর বাবা হয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। বাবা-মেয়ের সুন্দর কাহিনী নিয়েই ছবির গল্প। পিকু তাঁর বাবার সঙ্গে রোড ট্রিপে যাবেন, আর সেই গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন ইরফান খান। আর তিনজনের চরিত্রই দর্শকদের খুব প্রিয় ছিল। একটি পুরোনো সাক্ষাৎকারে, দীপিকা ইরফানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলেন।
অভিনেত্রী বলেন, “আমি ভেবেছিলাম তিনি (ইরফান) একজন রাগান্বিত অভিনেতা, তিনি খুব কঠোর একজন ব্যক্তি। হয়তো বাণিজ্যিক নায়িকা হওয়ার জন্য তিনি আমাকে অবজ্ঞা করবেন না। কিন্তু সে তার থেকে একেবারেই আলাদা। কিন্তু বাস্তবে পুরোটাই আলাদা ছিলেন ইরফান। তিনি কম কথা বলতেন। কিন্তু খুব মজার মানুষ ছিলেন তিনি। সে যে সূক্ষ্ম প্রতিভার অধিকারী তা আলাদা করে আর বলতে হবে না।” অন্যদিকে শুভ্র গুপ্তার বই ইরফান: এ লাইফ ইন মুভিজ-এ, পরিচালক সুজিত সরকার বলেছিলেন যে, ইরফান পিকুকে একটি প্রেমের গল্প ভেবেছিলেন কারণ এতে দীপিকা ছিল। আর একজন এ-গ্রেড অভিনেত্রী তার সঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছিলেন, এটা তাঁর কাছে গর্বের মুহূর্ত ছিল। কিন্তু দীপিকা ইরফানের সঙ্গে কাজ করতে প্রথম প্রথম ভয় পেয়েছিলেন। ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ইরফান ২৯ এপ্রিল, ২০২০ সালে মুম্বাইতে মারা যান।